ময়মনসিংহে কাঙালি ভোজে আ. লীগের দুইপক্ষে সংঘর্ষ
ময়মনসিংহে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কাঙালি ভোজের আয়োজন নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ বুধবার বেলা ১১টায় গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানা এলাকার মশাখালী রেলস্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষকারীরা ময়মনসিংহের বর্তমান ও সাবেক দুই সাংসদের সমর্থক।
এ সময় চারজন আহত হয়েছেন বলে দাবি করছেন সংঘর্ষকারীদের একপক্ষ।
এ বিষয়ে গফরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, তাঁর সমর্থক উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক খোকন আহামেদ মশাখালী রেলস্টেশনের পাশেই নিজ বাড়িতে কাঙালি ভোজ, কোরআন পাঠ ও দোয়ার আয়োজন করেন। কিন্তু বর্তমান সাংসদ ফাহমি গোলন্দাজ বাবেলের সমর্থক গফরগাঁও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সালাহ উদ্দিন পলাশ দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে সেখানে হামলা চালায়। সেখানে তাঁরা ব্যাপক ভাঙচুর চালায়, মারধর করে এবং রান্না করা খিচুরি নষ্ট করে।
এ সময় আশরাফুল, সেলিম, সজিব ও রুসমত নামের চারজন আহত হয়েছেন বলে দাবি করে গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘যারা এই কাজ করেছে তারা রাষ্ট্রদ্রোহিতা করেছে।’ এ ঘটনার দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাংসদ।
তবে,এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল ও তাঁর এপিএস সোহেলকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁরা ফোন রিসিভ করেন নাই।
তবে তাঁর সমর্থক গফরগাঁও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সালাহ উদ্দিন পলাশ জানান, শোক দিবস উপলক্ষে তাঁরা মশাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মশাখালী রেলস্টেশন প্ল্যাটফর্ম মুক্তিযোদ্ধা অফিসের সামনে কাঙালি ভোজ, কোরআন পাঠ ও দোয়ার আয়োজন করেন। এ সময় পাশের এলাকায় আলাদা অনুষ্ঠানের আয়োজকদের একসঙ্গে অনুষ্ঠান করার আহ্বান জানান। কিন্তু তাঁরা আসেননি। গফরগাঁও আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো কোন্দল নেই বলে তিনি দাবি করেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার আবিদ হোসেন বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।’