আরমান উল্লাহর মানবাধিকার শান্তি পদক লাভ
মাদকাসক্তদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনধারায় ফিরিয়ে আনা এবং কর্মসংস্থানসহ পুনর্বাসনে ভূমিকা রাখায় কিশোরগঞ্জের ভৈরবের তরুণ সমাজসেবক মো. আরমান উল্লাহ ‘মানবাধিকার শান্তি’ পদক লাভ করেছেন। ইউনাইটেড মুভমেন্ট ফর হিউম্যান রাইটস-নামের একটি সংস্থা তাঁকে এই পদকে ভূষিত করে সম্মাননা ক্রেস্টসহ সনদপত্র দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে এক আলোচনা সভা ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিচারপতি সিকদার মকবুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আরমানের হাতে এই পদক তুলে দেন।
সংগঠনের সভাপতি, সংস্কৃতিজন অ্যাডভোকেট লুৎফুল আহমদ বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটির উদ্বোধক ছিলেন ভাষা সৈনিক রেজাউল করিম, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শহীদুল হারুন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মানবাধিকার ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন।
আরমান উল্লাহ ২০০৫ সালে ভৈরবে অশ্রু মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে এই অঞ্চলের মাদকসক্তদের চিকিৎসা সেবাসহ পুনর্বাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তিনি এই প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান। অভিভাবকদের কাছ থেকে নামমাত্র অর্থ গ্রহণ করে বছরের পর বছর ভর্তুকি দিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠানটি চালিয়ে যাচ্ছেন।
আরমান উল্লাহ বলেন, ‘আমরা অন্ধকার জগতের মানুষদের আলোর দিকে টেনে নিয়ে আসি। একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি নিজের জন্য, পরিবারের জন্য এবং সমাজ ও দেশের জন্য শুধু বোঝাই নয়, বড় সমস্যা। আমরা সেই সমস্যা দূরীকরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
সরকারি কোনো সহায়তা ছাড়া, শুধু ব্যক্তিপর্যায়ে এই প্রতিষ্ঠানটি চালিয়ে বছরে গড়ে ১০০ থেকে ১২০ জন মাদকাসক্তকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে আমরা সক্ষম হচ্ছি। আমরা শুধু মাদকাসক্ত নিরাময়ই নয়, যাদের প্রয়োজন, তাদের কর্ম দিয়ে পুনর্বাসিতও করছি।’
আরমান উল্লাহ ভৈরব শহরের উত্তর ভৈরবপুর এলাকার জমির উদ্দিন মুন্সির বাড়ির মো. হাবিবুল্লাহ মিয়া ও আলহাজ জাহানারা বেগমের ছেলে। সাত ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে স্ত্রী ফারজানা ইয়াসমিন জুমু এবং তিন ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে তাঁর সংসার।
মেসার্স মায়ের দোয়া নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার আরমান উল্লাহ। মুজিব আদর্শের সৈনিক হিসেবে উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে রাজনৈতিক চর্চা করছেন। এ ছাড়াও স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে সামাজিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। আর্থিক ও মানসিকভাবে সমাজ উন্নয়নে ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সমাজসেবা করে যাচ্ছেন তিনি।