যুদ্ধাপরাধে ৩৫তম রায়ের অপেক্ষা
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ তথা যুদ্ধাপরাধের মামলায় ৩৫তম রায় অপেক্ষমাণ রয়েছে।
এ মামলার আসামিরা হচ্ছেন হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মুড়াকরি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী ও কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার আমিনুল ইসলাম ওরফে রজব আলী।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল গত ১৬ আগস্ট শুনানি শেষে এ মামলার রায় ঘোষণা অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখে আদেশ দেন। এটি হবে যুদ্ধাপরাধের মামলার বিচারে গঠিত ট্রাইব্যুনালের ৩৫তম রায়।
২০১৬ সালের ১ নভেম্বর এ দুজনের বিষয়ে অভিযোগ গঠন করা হয়। এ দুজনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট সাতটি অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১৬ সালের ১৮ মে এই দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। সেই থেকে তারা পলাতক রয়েছেন।
সাত অভিযোগ
এক হচ্ছে ১৯৭১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর লিয়াকত ও রজব রাজাকার পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ে লাখাই থানার কৃষ্ণপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে গণহত্যা, লুটপাট চালিয়ে কৃষ্ণপুর গ্রামে নৃপেন রায়ের বাড়িতে রাধিকা মোহন রায় ও সুনীল শর্মাসহ ১৫ জন জ্ঞাত ও ২৮ জন অজ্ঞাত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোককে গুলি করে হত্যা করেন। দুই ও তিন নম্বর অভিযোগ- একই এলাকার চণ্ডীপুর ও গদাইনগর গ্রামে গণহত্যা ও লুটপাট করেছেন তাঁরা। চার নম্বর অভিযোগ হলো অষ্টগ্রাম থানার সদানগর গ্রামে শ্মশানঘাটে হত্যাকাণ্ড চালান তাঁরা। পাঁচ নম্বর অভিযোগ- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানার ফান্দাউক গ্রামের বাচ্চু মিয়া ও রঙ্গু মিয়াকে অপহরণ এবং হত্যা করেছেন তাঁরা। অভিযোগ ছয় ও সাত হচ্ছে- অষ্টগ্রাম থানার সাবিয়ানগর গ্রামে চৌধুরী বাড়িতে ও সাবিয়ানগর গ্রামে খাঁ বাড়িতে হত্যা।