মাদকসেবী ও ছিনতাইকারীদের অভয়ারণ্যে পরিনত হয়েছে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। দিনের বেলায় উদ্যানের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে মাদক সেবন করলেও সন্ধ্যায় অন্ধকার ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই তারা বেড়িয়ে আসে প্রকাশ্যে। উদ্যানে ঘুরতে আসা লোকজনকে নানাভাবে নাজেহাল করে ছিনিয়ে নিয়ে যায় টাকা পয়সা ও মোবাইল ফোন। আর প্রেমিক যুগলকে নাগালে পেলে তো আর কথাই নেই। তাদের লাঞ্ছিত করার ঘটনাও নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অবশেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মাদকসেবী ও ছিনতাইকারীদের ধরতে অভিযান চালিয়েছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‍্যাব)। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম ও র‍্যাব ৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এমরানুল হকের নেতৃত্বে আজ বুধবার বিকেলে শুরু হয় অভিযান। প্রায় ৩ ঘন্টার অভিযানে র‍্যাবের জালে ধরা পড়ে শতাধিক মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী।

বিশেষ করে উদ্যানের ভেতরে মন্দিরের কাছ থেকে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের পেছন দিক হয়ে শিখা চিরন্তন ও লেকের আশপাশ এলাকায় এই চক্রটির অবস্থান। উদ্যানে ঘুরতে আসা অনেককেই সর্বশান্ত হয়ে ফিরে যেতে হয় এখান থেকে।

র‍্যাব ৩ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল এমরানুল হক জানান, দীর্ঘদিন ধরেই এখানে র‍্যাবের নজরদারি ছিল। এখানে কারা মাদক সেবন করে এবং ছিনতাই করে তাদের ওপর নজর রাখা হচ্ছিল। অনেক ভুক্তভোগী অভিযোগও করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ঘুরতে এসে এখানে বিপদে পড়েছেন। তাই র‍্যাব এই অভিযান চালিয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম জানান, মাদকসেবীরা এখানে এসে মাদক সেবন করে ও ছিনতাই করে। অভিযানে আটক ১০৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।