দ্রুত মুক্তি চাইলে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘তারা (বিএনপি) চাইছেন খালেদা জিয়ার মুক্তি। তাদের তো কোর্টের মাধ্যমে আনতে হবে। আর যদি দ্রুত চায় তবে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবে। এটাই আমাদের নিয়ম।’
আজ রোববার গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা গত ৩০ ও ৩১ আগস্ট নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে বঙ্গোপসাগরীয় উপকূলের দেশগুলোর জোট বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশনের (বিমসটেক) চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন। ওই সম্মেলন প্রসঙ্গে জানাতেই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি দুর্নীতির মামলায় তিনি জেলে। দুর্নীতি করেছে বলেই জেলে। সেটাও আবার এতিমদের টাকা আত্মসাত করা। মামলাটা কিন্তু আমরা দেইনি। মামলাটা কিন্তু আমাদের সরকারের দেওয়া না। মামলাটা হয় তখন যখন তাঁরই প্রিয় ব্যক্তিত্বরা ক্ষমতায়। উনারই পছন্দের ইয়াজউদ্দিন সাহেব, উনারই পছন্দের ফখরুদ্দিন সাহেব তাঁদের আমলেই মামলাটা দেওয়া ছিল। কাজেই আমাদের ওপর দোষ দিয়ে তো লাভ নেই। এ মামলাটা ১০টা বছর চলেছে। এ রকম একটা মামলা কি ১০ বছর চলে কখনো? আমরা যদি বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ করতাম বা করতে চাইতাম তাহলে কি ১০ বছর লাগত? আমরা তো হস্তক্ষেপ করিনি। ১৫৪ বার তারিখ পড়েছে। সে যায় না কোর্টে। আজকে যদি অন্য কেউ হাজিরা না দিত আপনারা কী লিখবেন তার জন্য? কিন্তু এখানে এত সমালোচনা হয় না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদাকে তো আমি সাজা দেই নাই। সাজা দিয়েছে আদালত, সে গ্রেপ্তার হয়েছে এতিমের টাকা চুরি করে। মামলা তো শুধু এটা না আরো আছে। কিন্তু মিডিয়া তাদের এসব প্রচার করে না। তারা সব সময় মিডিয়ার ফেভার পায়। অথচ প্রাইভেট চ্যানেল দিয়েছি আমি, আর সেই নিউজে দেখা যায় আমি আছি তিন-চার, পাঁচে।’