‘নির্দোষ হলে কোর্টে যেতে ভয় কেন?’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্দোষ হলে কোর্টে যেতে ভয় কেন?’ তিনি আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়া কোর্টে দাঁড়িয়ে বলে দিল তিনি আর কোর্টে আসবেন না। এটা কোন ধরনের কথা। এ ধরনের ঔদ্বত্যপূর্ণ কথা কোনো নাগরিক বলতে পারে?’
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপির রাজনীতির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে বিশেষ আদালতের নজির নতুন নয়, অতীতে অনেক সরকারের আমলেই কারাগারের সাথে-ই আদালত স্থাপন হয়েছিল।’ এ বিষয়ে বিএনপি নেতাদের মন্তব্যের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, যে দলটির জন্ম অসাংবিধানিক উপায়ে তাদের কাছ থেকে সংবিধান শিখতে হবে?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা বলছে এটা ক্যামেরা ট্রায়াল। এটা তো ক্যামেরা ট্রায়াল না। পুরো দরজাই তো খোলা ছিল। তাদের কোনো কোনো আইনজীবী গেটে গিয়ে বসেও ছিল কিন্তু কোর্টরুমে ঢুকে নাই। অথবা আশপাশেই বসে ছিল।’
কারাগারে খালেদা জিয়াকে সর্বোচ্চ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে কেউই অতীতে এমন সুযোগ-সুবিধা পায়নি।‘ তাই দলটির নেতাদের অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আইনজীবীদের প্রমাণ করতে হবে যে খালেদা জিয়া নির্দোষ। ১০ বছরে তারা প্রমাণ করতে পারল না। এখনো পারছে না। খালেদা জিয়া কোর্ট অ্যাভয়েড করতে চায়, তার আইনজীবীও অ্যাভয়েড করতে চায়। তাহলে এ মামলা কি ঝুলেই থাকবে। প্রশ্ন আমি রেখে গেলাম। টক শো তো ফাটিয়ে ফেলে সবাই। এ জবাবগুলো তারা দেবে আমি আশা করি। অপরাধী হলে সাজা হবে। এখানে কোনো রাজনীতি নাই, প্রতিহিংসা নাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটানা ক্ষমতায় থেকে মানুষের কল্যাণ করেছে বলেই দেশি-বিদেশি সব গবেষণায় উঠে আসছে আওয়ামী লীগের প্রতি দেশের মানুষের আস্থার কথা।’ এ সময় নতুন জোটকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিকল্প থাকা উচিত।’ তবে শেখ হাসিনার আক্ষেপ ড. কামাল হোসেন সংবিধান প্রণেতা হয়েও কেন নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে অসাংবিধানিক প্রক্রিয়ার কথা বলেন।