রাজধানীর বাসিন্দা ইসরাত জাহান আইরিন (৩৫) এক বছর ধরে পাকস্থলীর ক্যানসারে আক্রান্ত। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে বাঁচাতে চেষ্টার সবটুকুই করছেন। কিন্তু নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারটির পক্ষে ক্যানসারের মতো একটি রোগের ব্যয়বহুল চিকিৎসা ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে নেওয়া আর সম্ভব হচ্ছে না। তাই ইসরাত জাহানের চিকিৎসা বন্ধের উপক্রম হয়েছে, যার অবধারিত পরিণতি হচ্ছে মৃত্যু। কিন্তু ইসরাত বাঁচতে চান। সে কারণেই তিনি সমাজের বিত্তশালী, সক্ষম মানুষের কাছে সহযোগিতার মানবিক আবেদন জানিয়েছেন। মানুষের একটু সহযোগিতাতেই বেঁচে যেতে পারেন ইসরাত।   

ইসরাতের স্বামী মাহবুবুর রহমান রাজধানীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। কিন্তু এখন তাঁর সেই চাকরিটি নেই। অথচ তিনিই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাঁদের একটি ছোট্ট মেয়ে আছে। পড়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে। পরিবারের খরচ, মেয়ের লেখাপড়ার পাশাপাশি স্ত্রীর ক্যানসারের চিকিৎসা করাতে গিয়ে একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছেন মাহবুবুর।

ইসরাতের চিকিৎসার জন্য এখন পর্যন্ত প্রায় ১৪ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। গত জুলাই মাসে ভারতের কলকাতায় গিয়ে চিকিৎসাও করিয়েছেন। তার পর কিছুদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে। ব্যয়বহুল চিকিৎসার খরচ চালাতে না পেরে একপর্যায়ে হাসপাতাল ছাড়তে হয়। এখন বাসায় থেকে স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক সুভাষিনী জনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ইসরাতের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য আরো অন্তত ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু সেই টাকা ব্যয় করার সামর্থ্য ইসরাতের পরিবারের নেই। তাহলে এই সামান্য কয়েকটি টাকার জন্য কি ইসরাতের জীবনপ্রদীপ নিভে যাবে? ইসরাতকে বাঁচাতে কোনো সামর্থ্যবান মানুষ কি এগিয়ে আসতে পারেন না? বা একটু একটু সহযোগিতা করে কি ইসরাতকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব না? মানুষের অসাধ্য তো কিছুই নেই। সেই আশা নিয়েই ইসরাত সবার কাছে হাত পেতেছেন। নিশ্চয়ই কেউ না কেউ তাঁর দিকে হাত বাড়িয়ে দেবেন।      

ইসরাত জাহানকে সহযোগিতা করার জন্য ব্যাংক হিসাব, বিকাশ নম্বর বা ব্যক্তিগতভাবেও যোগাযোগ করা যাবে। ব্যাংক হিসাব নম্বর : ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড (ডিবিবিএল) ১১১-১০১৬৭৮৭১। বিকাশ নম্বর (ব্যক্তিগত) ০১৭১২২৯৯২৮৪। সরাসরি যোগাযোগের ঠিকানা : মাহবুবুর রহমান (০১৭১২২৯৯২৮৪), রোড নম্বর-৬, বাসা নম্বর বি/২৯, শ্যামলী হাউজিং, শেকেরটেক, আদাবর, ঢাকা-১২০৭।