ময়লা ফেলতে নিষেধ করায় মারধর, যুবকের মৃত্যু
ময়লা ফেলতে নিষেধ করায় নগরীতে মারধরের শিকার এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত যুবকের নাম লিটন (৩৪)।
লিটন রাজশাহী নগরীর রামচন্দ্রপুর এলাকার মীরেরচক মহল্লার বাসিন্দা। গত সোমবার ওই এলাকায় মারধরের শিকার হন লিটন। গতকাল মঙ্গলবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান লিটন। আজ বুধবার ময়নাতদন্ত শেষে লিটনের লাশ তাঁর বাড়ি নিয়ে যায় স্বজনরা।
এ বিষয়ে বোয়ালিয়া থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে প্রাথমিকভাবে একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন, লিটনের চাচাতো ভাই ও মীরেরচক এলাকার বাসিন্দা মাহমুদ, বাবু, মনোয়ার, মাইনুল, মঞ্জুর ও তাদের স্ত্রী সোমা, হাসিনা, শিল্পী, রিক্তা। তবে অভিযুক্তদের নামের তালিকা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন নিহতের স্বজনরা।
এদিকে ঘটনার সম্পৃক্ততায় এরই মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মীরেরচক এলাকার শিল্পী (৫০), রিক্তা (৩৫) ও মাহমুদ (৪৫)। বাকিরা পলাতক।
নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, গত সোমবার সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬টায় নিহত লিটনের চাচাতো ভাই মাহমুদের স্ত্রী সোমা বাড়ির পাশের রাস্তায় ময়লা ফেলছিল। এ সময় পাশের বাড়িতে থাকা লিটন তা দেখতে পেয়ে সোমাকে রাস্তায় ময়লা ফেলতে নিষেধ করে। এ সময় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে সোমার স্বামী ও অন্য ভাই ও তাদের স্ত্রীরা একত্রিত হয়ে এসে লিটনের ওপর চড়াও হয়। এ সময় লিটনকে তারা এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি ও রড দিয়ে পেটায়। এদের প্রত্যেকেই নিহত লিটনের চাচাতো ভাই ও তাদের স্ত্রী।
ঘটনার পর উল্টো সোমা ও তার পরিবারই নিহত লিটন ও তার বিধবা মায়ের নামে পুলিশে অভিযোগ দেয় এবং পুলিশ নিয়ে আসে। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি নিজেদের মধ্যে মীমাংসার আশ্বাস দিলে পুলিশ চলে যায়।
এদিকে ঘটনার পর থেকে লিটন অসুস্থ ছিল। মঙ্গলবার রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রাজশাহী মেডিকের কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লিটন সেখানে মারা যান। বুধবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর লাশ বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। এরই মধ্যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ধরার চেষ্টা চলছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’