দেড় লাখ ইভিএমই বিদেশ থেকে আমদানি হচ্ছে
নির্বাচন কমিশন যে দেড় লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে জাতীয় পরিচয়পত্র ও নিবন্ধন অণুবিভাগের (এনআইডি) মহাপরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে এই তথ্য জানান।
মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ইভিএম মেশিনের যন্ত্রপাতি আমদানি করবে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি। এর পর ওই ফ্যাক্টরি যন্ত্রগুলোকে সেট করে নির্বাচন কমিশনের কাছে হস্তান্তর করবে। যেমন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিংগার প্রিন্ট আনা হচ্ছে। অ্যাপল কোম্পানির কাছ থেকে ইভিএমের মনিটর আমদানি করা হচ্ছে। এ ছাড়া আরো অনেক দেশ থেকে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি আমদানি করা হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি বিস্তারিত জানে। এগুলোর সঙ্গে ডিল করছে তারা। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আরো বিস্তারিত জানা যাবে।
অন্য দেশের ইভিএমের সঙ্গে এই ইভিএমের পার্থক্য জানতে চাইলে মহাপরিচালক বলেন, ইভিএমে কোনো ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক কানেকটিভিটি নেই। সুতরাং এখানে পৃথিবীর কোনো হ্যাকার হ্যাক করতে পারবে না। ইসির ভারচুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) দ্বারা এটা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে যে ইভিএম ব্যবহার করা হয় সেখানে কিন্তু ফিংগার প্রিন্টের সিস্টেম নেই। এমনকি আইরিশ নেই। কিন্তু আমরা এখানে আইরিশ সংযুক্ত করার চেষ্টা করছি। এ ছাড়া আরো অনেক সুবিধা আমাদের ইভিএমে থাকছে যা অন্য দেশের ব্যবহৃত ইভিএমে নেই।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে বিএনপিসহ অন্যান্য দলের আপত্তি সত্ত্বেও গত মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) তিন হাজার ৮২৫ কোটি টাকায় দেড় লাখ ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম কেনার প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।
‘নির্বাচনী ব্যবস্থায় আরো স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ক্রয়, সংরক্ষণ ও ব্যবহার’ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী মুস্তাফা কামাল। ইভিএম প্রকল্প সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, গৃহীত প্রকল্পটি তিনটি পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হবে। ইভিএমগুলো (এক লাখ ৫০ হাজার ইভিএম) তিনটি পর্যায়ে ক্রয় করা হবে।
মুস্তাফা কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শহর এলাকায় প্রাথমিকভাবে ইভিএম ব্যবহার করা উচিত। কারণ সেখানে শিক্ষিত ব্যক্তিদের সংখ্যা বেশি। ক্রমান্বয়ে দেশের সর্বত্র ইভিএম ব্যবহার করা উচিত।