বঙ্গোপসাগরে শতাধিক জেলে এখনো নিখোঁজ
বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ১৫টি মাছ ধরার ট্রলারসহ শতাধিক জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে এ পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে দেড়শত জেলে ও মাঝিমাল্লা। নিখোঁজ ট্রলার ও জেলেদের উদ্ধারে কাজ করছে কোস্ট গার্ড এবং নৌবাহিনী।
সাগর থেকে ফিরে আসা জেলে-মাঝিমাল্লা, বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও কোস্ট গার্ডের অপারেশন অফিসার লে. জাহিদ আল হাসান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ঝড়ের কবলে পড়ে গভীর সাগরে অন্তত ১৫টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া ওই সকল ট্রলারে থাকা শতাধিক জেলেকে আশপাশের ট্রলারগুলো উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন আরো প্রায় দেড়শত জেলে-মাঝিমাল্লা। শতাধিক জেলেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা গেলেও কোন ট্রলার উদ্ধার করা যায়নি।
নিখোঁজ ওই সব ট্রলার ও জেলেদের উদ্ধারে কোস্ট গার্ডের কচিখালী ও দুবলা স্টেশনের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের (মোংলা) অপারেশন অফিসার লে. জাহিদ আল হাসান। তিনি আরো বলেন, কচিখালী স্টেশনের অভিযানে বৃস্পতিবার রাতে সাগর সংলগ্ন বাদামতলা এলাকা থেকে ইঞ্জিন বিকল হয়ে ভাসতে থাকা একটি ট্রলার ও আট জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া জেলেরা সুস্থ রয়েছেন। তাঁরা পটুয়াখালী এলাকার বাসিন্দা।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘বরগুনার ছগির পালোয়ানের এফ,বি আরমান, আহম্মদ মিস্ত্রীর এফ,বি তাজেনুর, দুলালের এফ,বি মায়ের দোয়া ও খলিলের এফ,বি মীমসহ ১৫টি ট্রলার ডুবেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই চারটির মধ্যে আরমান ট্রলারের চার জেলে এখনও নিখোঁজ। অন্য তিন ট্রলারের জেলে উদ্ধার হলেও একটি ট্রলারও উদ্ধার করা যায়নি।’ নিখোঁজ ওই সব ট্রলার ও জেলেদের বাড়ী বরগুনার বিভিন্ন এলাকায়।