খালেদা জিয়াসহ দুজনের মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্যের অভিযোগে করা মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর মামলাটি বিচারের জন্য মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালত বরাবরে পাঠিয়ে দেন। সিএমএম আদালত থেকে মামলাটি বিচারের জন্য একটি নিদিষ্ট মহানগর হাকিমের আদালতে পাঠানো হবে। ওই আদালতে খালেদা জিয়া ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হবে।
২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি শহীদের সংখ্যা নিয়ে কটূক্তি করে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী খালেদা জিয়া ও গয়েশ্বর চন্দ্রের বিরুদ্ধে সিএমএম আদালতে মামলাটি করেন।
পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘আজকে বলা হয় এত লক্ষ শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না।’
অন্যদিকে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা নির্বোধের মতো মারা গেছেন। একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত যাঁরা পাকিস্তানের বেতন-ভাতা খেয়েছেন, তাঁরা নির্বোধের মতো মারা গেলেন। আর আমাদের মতো নির্বোধরা শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে তাঁদের কবরে ফুল দেই। আবার না গেলে পাপ হয়। তাঁরা যদি বুদ্ধিমান হন, তাহলে ১৪ তারিখ পর্যন্ত নিজের ঘরে থাকলেন কীভাবে।’