২১ আগস্ট মামলায় তারেক রহমানকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র চলছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ মামলায় তারেক রহমান ও বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে জড়ানো হয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলছি, এ হামলায় কোনোভাবেই বিএনপি জড়িত ছিল না। এ মামলায় মুফতি হান্নানকে ২৪০ দিন রিমান্ডে এনে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করিয়েছে। পরে তিনি আদালতে বলেছেন, তাঁকে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করানো হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘গ্রেনেড হামলা মামলায় শেখ হাসিনার যে গাড়িটি গুলিবিদ্ধ হয়েছে, তিনি এফবিআইকে গাড়িটি দিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করেননি। এমনকি ভারতের এক পত্রিকায় তিনি বলেছিলেন, এ হামলার সঙ্গে সেনাবাহিনী জড়িত। এ মামলায় ষড়যন্ত্র করে কোনো রায় দিলে দেশের জনগণ তা মেনে নেবে না।’
আজ বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথ সভা শেষে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
যৌথ সভায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলার রায় নিয়ে চক্রান্ত এবং সারা দেশে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নামে যে চার হাজার ‘গায়েবি মামলায়’ তিন লাখ লোককে আসামি করা হয়েছে, তার নিন্দা জানানো হয়। সভায় খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে তাঁকে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
‘জনসভা নিয়ে আ.লীগের তৎপরতা দুঃখজনক’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা আগামী ২৯ তারিখ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করব। সেটি কেন্দ্র করে এরই মধ্যে সরকারি দল বিভিন্ন কথা বলছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। নাসিম সাহেব বলছেন, যেখানে পাও বিএনপিকে আটকে দাও। জাহাঙ্গীর কবির নানক বলছেন, রাস্তায় নামলে হাত-পা ভেঙে দাও।’
‘আমরা ২৭ তারিখ জনসভা করতে চেয়েছি, সে জন্য পুলিশকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুলিশ আমাদের বলেছে, আপনারা ২৭ তারিখ নয়, ২৯ তারিখ করেন। এখন শুনছি, সেদিন মহানগর নাট্যমঞ্চে আওয়ামী লীগের একটা প্রোগ্রাম আছে। এটার কারণে আসলে আমাদের জনসভা করতে কী সমস্যা, আমার বুঝে আসে না।’
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘এ জনসভা হবে আমাদের নীতিনির্ধারণী বক্তব্য তুলে ধরার। এখানে আমরা আমাদের আগামী দিনের নীতিনির্ধারণী কর্মসূচি জানাব।’