স্কুলশিক্ষিকা রুবিনার হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
স্কুলশিক্ষিকা রুবিনা আক্তারের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শরীয়তপুর জেলা শিক্ষক সমিতি। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে শরীয়তপুর সদর উপজেলা চত্বরে জেলার প্রাইমারি শিক্ষক সমিতির শিক্ষকরা মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেন।
এ সময় বক্তব্য দেন জেলা প্রাইমারি শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল হক সুজাল, সহকারী সম্পাদক গোবিন্দ চন্দ্র দত্ত, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. আবদুল হালিম, ফারুক খন্দকার, মো. নুরুল হক, সেলিম মিয়া, সাইদুল হক মুন্না ও নারীনেত্রী মনিরা বেগম।
গত মঙ্গলবার বিকেলে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পশ্চিম রায়েরকান্দি গ্রামের একটি বাঁশবাগান থেকে রুবিনা আক্তারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গত শুক্রবার থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, রুবিনাকে হত্যা করে লাশ বাঁশ বাগানে ফেলে রাখা হয়েছে।
জাজিরা থানা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জাজিরার পশ্চিম রায়েরকান্দি গ্রামের মৃত হাসান মুন্সির মেয়ে রুবিনা আক্তার। ২০১০ সালে নিয়োগ পেয়ে বড় মুলনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন তিনি। এক বছর আগে পাশের পূর্ব রায়েরকান্দি গ্রামের ইতালি প্রবাসী আক্তার মল্লিকের সঙ্গে মুঠোফোনে তাঁর বিয়ে হয়। আগামী জানুয়ারিতে স্বামী দেশে ফিরলে তাঁকে বাড়িতে নেওয়ার কথা ছিল। রুবিনা তাঁর মা রাবেয়া খাতুনের সঙ্গে বসবাস করতেন।
গত শুক্রবার দুপুরে রুবিনা বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র ফটোকপি করার জন্য জাজিরা উপজেলা সদরে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর ফিরে আসেননি। তিনি বাড়ি না ফেরায় শনিবার তাঁর ভাই শামছুল হক মৃধা জাজিরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। মঙ্গলবার গ্রামের মানুষ তাদের বাড়ির কাছে একটি বাঁশ বাগানে বাঁশের সঙ্গে ওড়না দিয়ে বাঁধা লাশের সন্ধান পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলায়েত হোসেন বলেন, স্কুলশিক্ষিকার লাশ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের ভাই সামছুল হক মুন্সী একটি হত্যা মামলা করেছেন। এখনো কাউকে আটক করা যায়নি