শাবনাজ হত্যার বিচার চেয়ে ফরিদপুরে মানববন্ধন
ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুরের গৃহবধূ শাবনাজ বেগম হত্যার বিচার ও খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে তাঁর পরিবার ও এলাকাবাসী।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করা হয়। এ সময় বক্তব্য দেন শাবনাজের মা লাইলী বেগম, বাবা রাজ্জাক ব্যাপারী, চাচা মো. মহসিন ব্যাপারী, নুরুল ইসলাম, রজব ব্যাপারী, ফরহাদ প্রমুখ।
নিহত শাবনাজের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে ননদসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন শাবনাজকে গলা টিপে হত্যা করে। এ ঘটনার পর আজ পর্যন্ত কোনো আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি।
আসামিদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচার হবে বলে প্রশাসনের কাছে প্রত্যাশা করেন শাবনাজের পরিবারের সদস্যরা।
২৯ সেপ্টেম্বর পশ্চিম খাবাসপুরের সৌদি আরব প্রবাসী গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী শাবনাজ বেগমকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন গলা টিপে হত্যা করে বলে অভিযোগ করে নিহতের পরিবার। এরপর থেকে শাবনাজের স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছেন।
পরদিন পুলিশ একটি অপমৃত্যুর মামলা নিলেও এ মামলায় পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। নিহত শাবনাজ বেগম (১৯) ডিক্রিরচর ইউনিয়নের ভূঁইয়াডাঙ্গী এলাকার রাজ্জাক ব্যাপারীর মেয়ে।
নিহতের পরিবার জানিয়েছে, দেড় বছর আগে পশ্চিম খাবাসপুরের বাসিন্দা সৌদি আরব প্রবাসী গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে বিয়ে হয় দশম শ্রেণি পড়ুয়া শাবনাজের। বিয়ের পর থেকেই শাবনাজকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতেন স্বামী আক্কাস, ননদ আফরোজা বেগমসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
নিহতের চাচা মহসিন ব্যাপারী জানান, ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে শাবনাজের শ্বশুরবাড়ি থেকে শাবনাজ অসুস্থ বলে জানানো হয়। তারপর আমরা গিয়ে শাবনাজকে খাটের ওপর পড়ে থাকতে দেখি।
পরে শাবনাজকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে শাবনাজের স্বামীসহ তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছেন।
ফরিদপুর মডেল কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম বলেন, আমরা এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছি। এখন ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে এলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।