মহাঐক্যের নামে কিছু খুচরা পার্টি এক হয়েছে : খালেক
খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র আলহাজ তালুকদার আবদুল খালেক বলেছেন, বিএনপি যতই কথা বলুক নির্বাচন ছাড়া তাদের কোনো বিকল্প নেই। জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন নেই, তারা বিএনপির ঘাড়ে চড়বে। আর মহাঐক্যের নামে যে জোট তাতে কিছু খুচরা পার্টি এক হয়েছে, যাদের প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী এই দেশে নাই।
শনিবার বিকেলে বাগেরহাটের মোংলায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মেয়র খালেক।
আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে মেয়র খালেক বলেন, ২০০১ সালে বিএনপির শাসনামলে মোংলা বন্দর বন্ধ করে দিয়েছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে এ বন্দর আবার চালু করেছে। বন্দরকে ঘিরে উন্নয়নের নানা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। বিমান বন্দর, রেল লাইন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চলছে এখানে।
বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে মোংলা-রামপাল নির্বাচনী আসনের মনোনয়ন নিয়ে দলের মধ্যে অনেকে বিভেদ সৃষ্টি করছেন। আমি এখানকার বারবার নির্বাচিত এমপি। দল ও জনগণের স্বার্থে খুলনায় সিটি নির্বাচনে লড়েছি। ছেড়ে দেওয়া আসনে আমার স্ত্রী এমপি হয়েছেন। জনস্বার্থের বিরুদ্ধে কোনো কাজ করিনি। আমি ও আমার আত্মীয়-স্বজন কেউ কোনো ঘের দখল এবং লুট করেনি, কারো প্রতি অত্যাচারও করিনি। যদি কেউ এসবের প্রমাণ দিতে পারেন তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দিব।
এজন্য আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান এমপি হাবিবুন নাহারই আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হবেন জানিয়ে খুলনা সিটি মেয়র খালেক নেতা-কর্মীদের হতাশ না হওয়ারও অনুরোধ করেন।
কর্মী সমাবেশে মোংলা পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড ও ছয়টি ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা বড় বড় মিছিল নিয়ে আসেন। সমাবেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনিল কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে স্থানীয় এমপি বেগম হাবিবুন নাহার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন্নাহার হাই, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ শেখ আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আবদুর রহমান, যুবলীগ নেতা ইকবাল হোসেন, আলহাজ শেখ কামরুজ্জামান জসিম, কবির হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিজান তালুকদারসহ অন্যান্যরা বক্তব্য দেন।