সড়ক আইন, পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে পণ্য পরিবহন বন্ধ
সদ্য পাস হওয়া সড়ক পরিবহন আইন সংশোধন ও মহাসড়কে পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বানে মাঠে নেমেছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা।
আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান স্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি। মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ জানায়, তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোর মধ্যে পণ্য পরিবহন বন্ধ রাখা হবে।
সম্প্রতি পাস হওয়া সড়ক পরিবহন আইনের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ আরো জানায়, ১২ অক্টোবরের মধ্যে ওই আইন সংশোধন করা না হলে পরিবহন ধর্মঘটসহ আরো বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে। বর্তমানে ঢাকা বিভাগের ১৭টি জেলায় সব ধরনের পণ্য পরিবহন বন্ধ রয়েছে।
সম্প্রতি বেপরোয়া গাড়ি চালানোর ফলে দুর্ঘটনায় মানুষের প্রাণহানির জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা, পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড রেখে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে যদি হত্যার উদ্দেশ্যে কেউ গাড়ি চালায় এবং সেটা প্রমাণিত হয়, তাহলে তা ফৌজদারি আইনের দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা অনুসারে বিচার হবে। সে ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদনের সাপেক্ষে নির্ধারণ করা হবে দুর্ঘটনার প্রকৃতি কী ছিল।
সেই আইনটি পরিবর্তনের দাবি জানান পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। একই সঙ্গে মহাসড়কে পুলিশি হয়রানি ও চাঁদাবাজি বন্ধের ব্যাপারে সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার জোর দাবি জানান তাঁরা।
তেজগাঁও ট্রাক-কাভার্ডভ্যান স্ট্যান্ডের এক শ্রমিক এনটিভিকে বলেন, ‘আমাদের ওপরে যে আইন কইরা যে একটা... আমাদের ড্রাইভারদের মৃত্যুদণ্ড বা আমাদের মালিকদের অ্যারেস্ট করা বা আপনের এই যে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা... এইভাবে তো আমরা গাড়ি চালাইতে পারি না।’
পুলিশের হয়রানি প্রসঙ্গে এক চালক বলেন, ‘পুলিশেরা আগে জিগায়া নিব যে, এই গাড়িটা কোন ডিস্ট্রিকের? যদি হোনে যে ঢাকা ডিস্ট্রিকের... আমি আছি সিরাজগঞ্জ... ওই সিরাজগঞ্জের পুলিশে কইব, এইটা ঢাকা ডিস্ট্রিকের। এইটারে বড় কইরা মামলা দে, আর নায়তো টাকা পাঁচ হাজার নেও।’
আরেক চালক বলেন, ‘আমাদের যে সাত দফা দাবি আছে, পুলিশের হয়রানি... এবং আমাদের ড্রাইভারদের হেভি লাইসেন্স দিতে হবে এবং পুলিশ থেকে মুক্তি দিতে হবে।’
‘পুলিশের হাত থেকে আমাকে উদ্ধার করার মতন সুযোগ সরকার করে দিক’, পুলিশের হয়রানি বন্ধে সরকারের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করে এভাবেই জানান আরেক পরিবহন শ্রমিক।