বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আমাদের হয় রাস্তায় থাকতে হবে, নয়তো জেলখানায় যেতে হবে। এ দুটির একটি স্বীকার করে নিতে পারলে আমাদের মুক্তি কেউ ঠেকাতে পারবে না।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক স্মরণসভায় এ কথা বলেন দুদু। নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের ২৮তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে শহীদ জেহাদ স্মৃতি পরিষদ ওই স্মরণসভার আয়োজন করে।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘একদিন, এক ঘণ্টা যতটুকু সময়ই হোক না কেন, আমাদের রাস্তায় নামতে হবে। রাস্তায় আপনি নামেন, দেশবাসী আমাদের সঙ্গে আছে। আগে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে রাস্তায় নামতে হবে। ছাত্র, যুবক, কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষকে নামতে হবে।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান দুদু বলেন, ‘নিজেদের কথাগুলো যদি বলি দলের বিরুদ্ধে চলে যেতে পারে। সরকারি লোকজন যখন স্বীকার করছে খালেদা জিয়ার অবস্থা ভালো না, তাঁর পায়ের অবস্থা, হাতের অবস্থা, কাঁধের অবস্থা ভয়ানক খারাপের দিকে চলে গেছে। এ অবস্থায় আমাদের যে ধরনের প্রতিবাদ করার দরকার ছিল, যে ধরনের আন্দোলন হওয়ার কথা ছিল আমরা কি তা করতে পেরেছি?’

বিগত সময়ের ছাত্র আন্দোলন সম্পর্কে দুদু বলেন, ‘রাস্তায় না নেমে  আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এমন ইতিহাস আমার জানা নেই। এ দেশে যা কিছু হয়েছে এবং ভালো কিছু হয়েছে, সবই ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে হয়েছে। এখনো যদি ভালো কিছু করতে হয়, ছাত্রদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। সে জন্য তাদের পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে, তাদের সমস্যাগুলো দেখতে হবে, তাদের যাতে ভূমিকায় আনা যায়, সে চেষ্টা করতে হবে।’

সম্প্রতি পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমালোচনা করে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশে ডিজিটাল আইন হয়েছে, এটা নিয়ে এখন আলোচনা হচ্ছে। আসলে ডিজিটাল আইন না, বাংলাদেশে বাকশাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি যে বাংলাদেশ আমরা দেখেছি, যে রক্ষীবাহিনী আমরা দেখেছি, সেটির অন্য নামে এখন পুলিশ। রক্ষীবাহিনী যে আইনটা দিয়েছিল বিনা ওয়ারেন্টে যখন যাকে খুশি ঘরের মধ্যে-ঘরের বাইরে রাস্তায় ধরে নিয়ে যেতে এবং স্বীকারোক্তি আদায়ে শুধু রিমান্ড নয়, মেরেও ফেলত। সেটার পরিবর্তন কীভাবে হয়েছিল, এটা আমরা জানি।’

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন রাজনীতির মিনিমাম সুযোগটা নেই। আমরা অনেকে নির্বাচনের কথা ভাবছি। গণতান্ত্রিক রাজনীতির পরিবর্তনটা নির্বাচনের মধ্য দিয়েই হয়, এগুলো আমরা বিশ্বাস করি।’