যুবকদের কর্মসংস্থান তৈরিতে সরকারকে পরামর্শ
বাংলাদেশ সরকার ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের যুবসমাজ হিসেবে বিবেচনা করে। আর সরকারি হিসাবে দেশের মোট জনসংখ্যার তিন ভাগের এক ভাগই যুবসমাজ। তাই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি অর্জনে বিশাল এই জনশক্তির উন্নয়ন জরুরি। আর তার জন্য প্রয়োজন কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা।
আজ রোববার রাজধানীতে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আয়োজনে যুব সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের বক্তারা কর্মসংস্থান তৈরিতে সরকারকে আরো মনোযোগী হতে আহ্বান জানান।
জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচিবিষয়ক সংস্থার (ইউএনডিপি) বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জি বলেন, ‘যুবসমাজের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগাতে হবে। আর তাদের জন্য কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করতে হবে। তবেই এসডিজি অর্জন সহজ হবে।’
এদিকে, সম্মেলনে উঠে আসে দেশের দুর্নীতিপ্রবণতার কথাও। বক্তারা জানান, কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের জন্য দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করার পাশাপাশি রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন। এ ছাড়া দেশের স্বার্থে রাজনীতিবিদদের, দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতি থেকে বের হওয়ার তাগিদ জানানো হয় এই সম্মেলন থেকে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, ‘এই দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতি থেকে আমাদের এই দেশকে মুক্ত করতে হবে। আমরা যেন দুর্নীতিপরায়ণতাকে প্রশ্রয় না দিই। আমরা যেন সত্য প্রকাশ করার স্বাধীনতা অর্জন করতে পারি। আমাদের বাকরুদ্ধ করার স্পর্ধা যেন কেউ দেখাতে না পারে।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. গওহর রিজভী বলেন, ‘এখনো অনেক কিছু করার বাকি আছে। যেভাবে আমরা মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস অর্জন করেছি। এখানেও আমরা আশা করি, করব। কিন্তু এটা করার জন্য আজকে যাঁরা এখানে আছেন, আমাদের তরুণ-তরুণী, আমাদের ছেলেমেয়েরা। এদের ওপরে একটা বিরাট দায়িত্ব আছে।’
এ ছাড়া উন্নয়নের সুফল থেকে বাদ পড়া মানুষের জন্যও কাজ করার তাগিদ আসে এই যুব সম্মেলন থেকে।