জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি জানতে কাল বসছে কমিশন সভা
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করতে ৩৬তম কমিশন সভার আহ্বান করা হয়েছে। ওই সভায় তফসিল ঘোষণার তারিখ নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
আগামীকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে তাঁর সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে অন্য চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ সচিবালয়ের আরো অনেকে উপস্থিত থাকবেন।
সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটির ৩৬তম সভায় কার্যবিবরণীতে রাখা হয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সর্বশেষ প্রস্তুতির বিষয়ে ইসি সচিবালয় থেকে কমিশনকে সর্ববিষয়ে অবহিতকরণ, হিজড়া জনগোষ্ঠীকে ভোটার তালিকায় আলাদা লিঙ্গ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে বর্তমান ভোটার তালিকা বিধিমালায় সংশ্লিষ্ট বিধি ও ফরমে সংশোধন এবং বিবিধ। এ ছাড়া আরো কিছু বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা (কমিশনাররা) নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে আগামীকাল খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জানতে চাইব ইসি সচিবালয়ের কাছে। গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়ে আমরা চূড়ান্তভাবে জানতে চাইব।’
রফিকুল ইসলাম আরো বলেন, ‘কমিশন সভায় বিশেষ করে ভোটার তালিকা, সীমানা নির্ধারণ, ব্যালট পেপার, ভোটকেন্দ্র, কাগজ কালিসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমরা ইসির সর্বশেষ প্রস্তুতি কোন পর্যায়ে রয়েছে তা জানতে চাইব।’
নির্বাচনের তফসিল নিয়ে জানতে চাইলে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সার্বিক বিষয়ে ইসি সচিবালয়ের কাছে জানতে চাওয়ার পর ভেবে দেখা যাবে তফসিলের বিষয়ে। যদি সব প্রস্তুতি ঠিক থাকে তাহলে ভালো কথা। আর যদি না থাকে তাহলে আগে ঠিক করতে হবে। তারপর তফসিল ঘোষণার বিষয়ে আলোচনা হবে।’
কোনো এক নির্বাচন কমিশনার আগামী সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার লক্ষে সব কমিশনারকে একটি আন-অফিশিয়াল (ইউও) নোট দিয়েছেন বলে আমরা শুনেছি। এটা সত্য কি না এবং সেটা নিয়ে আলোচনা হবে কি না- এমন প্রশ্নে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এটা নিয়ে আলোচনা হবে কি না, তা আমি জানি না। যদি সিইসি আলোচনার সুযোগ দেয় সেক্ষেত্রে আলোচনা হতে পারে। সত্য কি না জানার কী আছে। ওই নোট তো আপনাদের কাছেই আছে বোধ হয়!’
এর আগে গত ৩০ আগস্ট ইসির সর্বশেষ ৩৫তম কমিশন সভা হয়। ওই সভায় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করার জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) সংশোধনী আনা হয়। তবে সেই সংশোধনীতে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়ে সভা বর্জন করেছিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। এরপর দেড় মাসের বিরতি দিয়ে ১৫ অক্টোবর ডাকা হয়েছে ইসির ৩৬তম কমিশন সভা। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বর্তমান কমিশন গঠনের পর দুই কমিশন সভার মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ সময়ের ব্যবধান।