‘সব ধরনের পরিস্থিতিতে জাপা নির্বাচনে অংশ নেবে’
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘সব ধরনের পরিস্থিতিতেই জাতীয় পার্টি (জাপা) নির্বাচনে অংশ নেবে। তাই জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে।’
আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানের একটি কনভেনশন সেন্টারে জাতীয় পার্টির মহানগর উত্তরের যৌথ সভায় এসব কথা বলেন জি এম কাদের।
জি এম কাদের বলেন, ‘জাতীয় পার্টি ২৭ বছর ক্ষমতার বাইরে, কিন্তু সাধারণ মানুষের মধ্যে জাতীয় পার্টির ব্যাপক জনসমর্থন আছে।’ আগামী ২০ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সফল করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান জি এম কাদের।
জি এম কাদের বলেন, ‘রাজনৈতিক বিবেচনায় দেশের মানুষ দুটি ভাগে ভাগ হয়ে গেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপি বা অন্য কেউ না এলে আমরা সরকারের সঙ্গে ৩০০ আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।’
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘যেকোনো জোটেই আমরা যাই, আমাদের শক্তি প্রদর্শনের একটি বিষয় আছে। আমরা যখন দরকষাকষিতে যাব, তখন আমাদের শক্তি কতটুকু, তা দেখেই শরিকরা আমাদের প্রার্থী মনোনয়নের জন্য রাজি হবেন।’
দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান এবং জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেন, ‘দেশের মানুষ এখন জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছে। আগামী নির্বাচনে তারা লাঙ্গলকেই দেখতে চায়। কারণ, দেশের মানুষ জানে উন্নয়ন, উৎপাদন এবং ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য জাতীয় পার্টির কোনো বিকল্প নেই।’
রওশন এরশাদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টির প্রতি দেশের মানুষের আস্থা আছে, তাই নির্বাচনের আগে তাদের সেই বিশ্বাসকে সুদৃঢ় করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টির নয় বছরে উন্নয়ন-কর্মকাণ্ড দেশের মানুষ এখনো ভোলেনি, তারা এরশাদের নেতৃত্বেই দেশ পরিচালনার ভার দেখতে চায়।’
পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘গেল ২৭ বছর দুটি দল দেশের রাজনীতিতে যে সংশয় এবং অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে, তা কেবল জাতীয় পার্টিই দূর করতে পারবে। জাতীয় পার্টিই এখন দেশের মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল। সাধারণ মানুষের ভরসা এখন শুধুই জাতীয় পার্টি।’
রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘২০ অক্টোবরের মহাসমাবেশে প্রমাণ হবে, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের চেয়ে জাতীয় পার্টি এখন অনেক বেশি শক্তিশালী। জাতীয় পার্টিকে ধ্বংস করতে যে ষড়যন্ত্র হয়েছিল, তা ছিন্নভিন্ন করে জাতীয় পার্টি দুর্বার বেগে এগিয়ে যাচ্ছে।’
জাতীয় পার্টির মহানগর উত্তরের সভাপতি এস এম ফয়সল চিশতীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, কারি হাবিবুল্লাহ বেলালী, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ নুরুল ইসলাম ওমর, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন, নুরুল ইসলাম নুরু, আমানত হোসেন আমানত, শফিকুল ইসলাম শফিক, জসিম উদ্দিন ভূইয়া, নাসির উদ্দিন, কাজী আবুল খায়ের, আবদুস সাত্তার, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, মামুনুর রহমান প্রমুখ।