ইট বালু পাথর কাঠ দিয়ে তৈরি হতো মসলা!
ইট, বালু, পাথর ও কাঠের গুঁড়া এবং ধানের ভুষির সঙ্গে ক্ষতিকর রং মিশিয়ে তৈরি করা হতো হলুদ, মরিচ ও ধনিয়ার ভেজাল মসলা। লাকড়ির কারখানার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছিল ভেজাল মসলার কারবার।
কিশোরগঞ্জের ভৈরব বাজারের লালপুর নৌকাঘাট এলাকার সেই ভেজাল কারখানায় হানা দিয়েছে র্যাব। জব্দ করেছে তিন হাজার ২০০ কেজি ভেজাল মসলা, নিম্নমানের মরিচ, হলুদ, ধনিয়া, ক্ষতিকারক রং, ইট, পাথর ও কাঠের গুঁড়া, বালু ও ধানের ভুসি।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের ভেজাল মসলা কারখানায় গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে অভিযান চালায় র্যাব। ছবি : এনটিভি
গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে চালানো অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের ও ক্যাম্পের সহকারী পরিচালক চন্দন দেবনাথ। পরে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কাজী ফয়সাল ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪৩ ধারায় মাহিন লাকড়ি মিলসের পরিচালক আবু আনসারী রনিকে এক বছরের এবং সহযোগী দেলোয়ার হোসেনকে ১০ দিনের কারাদণ্ডাদেশ দেন। মাহিন লাকড়ি মিলসের মালিক হলেন দণ্ড পাওয়া রনির বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই কারখানায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযুক্তরা কারখানার বাইরে মাহিন লাকড়ি মিল সাইনবোর্ড টানিয়ে ভেতরে ভেজাল মসলার কারখানা পরিচালনা করে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে।
এই সাইনবোর্ডের আড়ালে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ভেজাল মসলা বানানো হতো। ছবি : এনটিভি
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কাজী ফয়সাল জানান, র্যাবের অভিযানে আটককৃত কারখানা মালিক ও তাঁর সহযোগী ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে দোষ স্বীকার করলে তাদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর জব্দকৃত মালামালগুলো সিলগালা করা হয়েছে। পরে সেগুলি একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুড়িয়ে অথবা পানিতে ফেলে ধ্বংস করা হবে।