ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নৈশপ্রহরী জয়নাল হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নৈশপ্রহরী জয়নাল আবেদীন হত্যা মামলায় আবদুল মতিন নামের একজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। অপর আসামি হুমায়ুন মিয়াকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শফিউল আজম এ আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া মতিন সদর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের আবদুল হকের ছেলে।
হত্যা মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী বসির আহমেদ খান জানান, জয়নাল আবেদীন দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় আমতলী বাজারে নৈশপ্রহরী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। ২০১৪ সালের ১৬ জুলাই সদর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের রাজঘরের আমতলী বাজারে তাঁকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের স্ত্রী শাহানা বেগম বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় আবদুল মতিনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পরে মতিনকে আটকের পর আদালতে ১৬৪ জবানবন্দিতে হুমায়ুন মিয়া নামের আরেকজনের নাম বেরিয়ে আসে। পরবর্তীতে পুলিশ মতিন ও হুমায়ুনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী বসির আহমেদ খান জানান, বুধবার এই মামলার রায়ে আদালত আবদুল মতিনকে ফাঁসি ও হুমায়ুন মিয়াকে খালাসের আদেশ দিয়েছেন। এই রায়ে আমরা খুশি নই। আমরা দুই আসামির ফাঁসি প্রত্যাশা করেছিলাম। রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোবারক উল্লাহ জানান, ১৬৪ ধারায় আসামির দেওয়া জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে আদালত এই রায় দিয়েছেন। আমরা এই রায়ে সংক্ষুব্ধ, রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।