আইয়ুব বাচ্চুর জন্য শহীদ মিনারে মানুষের ঢল
এর আগে এ রকম বহুবার ঘটেছে। হাজার হাজার মানুষ অপেক্ষা করছে আর প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে মঞ্চে উঠেছেন আইয়ুব বাচ্চু। প্রিয় গিটার নিয়ে যখন তিনি মঞ্চে উঠতেন, তখন উপস্থিত শ্রোতাদের মুহুর্মুহু করতালি প্রতিধ্বনি তুলত।
আজ শুক্রবারও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। অপেক্ষা ছিল আইয়ুব বাচ্চুর। তিনি এসেছেন, তবে গিটারটা নেই। মঞ্চও ছিল না। গিটারের তারে স্ট্রোক করে বলেননি, ‘কী, কেমন আছেন, সবাই?’ তিনি এসেছেন, গিটার ছাড়া, তবে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন তাঁর রেখে যাওয়া শত শত গানের সুরের মূর্ছনাকে সঙ্গে নিয়ে। বুকে আইয়ুব বাচ্চুর সেসব সুর ধারণ করে শেষবারের মতো বিদায় জানাতে হাজারো মানুষ অশ্রুসজল চোখে উপস্থিত হন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা জানাতে।
স্কয়ার হাসপাতাল থেকে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ নিয়ে গাড়িটা যখন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌঁছে, তখন ঠিক সকাল সাড়ে ১০টা। ভিড় আগে থেকেই ছিল। আইয়ুব বাচ্চু পৌঁছার খবরে ভিড় বেড়ে যায় আরো বেশি।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের একপাশে রাখা হয় সংগীতশিল্পীর মরদেহ। পেছনে কালো ব্যানার। তাতে লেখা, আইয়ুব বাচ্চুর প্রতি জাতির শ্রদ্ধাঞ্জলি। কফিন আগলে রাখেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ, শাফিন আহমেদ, রবি চৌধুরী, মানাম প্রমুখ। আরো ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কর্মী ও শিল্পীরা। মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে এ সময় দীর্ঘ লাইন ধরে অপেক্ষা করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সংস্কৃতিবিষয়কমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
শুধু ব্যক্তিবিশেষ নয়, বিভিন্ন সংগঠন একে একে ভিড় জমাতে থাকেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আইয়ুব বাচ্চুকে রাখা হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
গতকাল বৃহস্পতিবার অসুস্থ অবস্থায় স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় আইয়ুব বাচ্চুকে। সেখানে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।