কক্সবাজারে দেশের বৃহৎ প্রতিমা বিসর্জনে লাখো মানুষের মিলনমেলা
কক্সবাজারের বালিয়াড়ি সমুদ্র সৈকতের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে বিসর্জন দেওয়া হয়েছে প্রায় অর্ধশত প্রতিমা। এ সময় মহামিলনমেলায় পরিণত হয় সৈকতটি।
ভক্ত, দর্শনার্থী, পর্যটকসহ সব সম্প্রদায়ের মানুষের উপস্থিতি ছিলো বালিয়াড়ি সৈকতে। ঢাক, ঢোল, কাঁসরের তালে আরতির বাদ্য বাজনায় ‘মা দুর্গার জয়’ স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে এ সৈকত। বিসর্জন মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে প্রায় অর্ধশত প্রতিমা সাগরে বিসর্জন দেন ভক্ত-পূজারীরা।
বৃহৎ প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেছেন, পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে দেশের বৃহৎ প্রতিমা বিসর্জন উৎসবকে ঘিরে মানুষের সম্প্রীতি আর উচ্ছ্বাস প্রমাণ করে বাংলাদেশ শান্তি ও সম্প্রীতির দেশ। কক্সবাজার সৈকতের এই উৎসব সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মহামিলন মেলা। এ উৎসবের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে।
বঙ্গোপসাগরে বিসর্জন দেওয়া হয় অর্ধশত প্রতিমা। ছবি : এনটিভি
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট রনজিত দাশের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মার সঞ্চালনায় বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল ও আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, পুলিশ সুপার (টুরিস্ট) জিল্লুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান প্রমুখ।
এবারের প্রতিমা বিসর্জনে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার প্রতিমাসহ কক্সবাজার জেলার অর্ধশত প্রতিমা সমুদ্রে বিসর্জন দেওয়া হয়। হাজার হাজার ভক্ত শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিসর্জন মন্ত্রের মাধ্যমে মা দুর্গাসহ অন্যান্য দেব দেবীর প্রতিমা বঙ্গোপসাগরে নিরঞ্জন করেন।
কক্সবাজারে প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা। ছবি : এনটিভি