আচরণ বিধিমালার সংশোধনে বসছে ইসি
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালায় সংশোধন এবং বিদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য নীতিমালা তৈরি করতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কমিশন সভা আহ্বান করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম জানিয়েছেন, আজ রোববার বিকেল ৩টায় ৩৭তম কমিশন সভা বসবে।
কবিতা খানম বলেন, বড় ধরনের পরিবর্তনের কোনো প্রয়োজন নেই। আচরণবিধিতে পরিবর্তন না আনলেও নির্বাচনে কোনো সমস্যা হবে না। তবে, আইন সংস্কার কমিটি থেকে সাধারণ কিছু সংশোধনের প্রস্তাব প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে প্রতীক হিসেবে জীবন্ত প্রাণী ব্যবহার না করা, ডিজিটাল ডিসপ্লের মাধ্যমে প্রচারের সুযোগ না থাকা এবং অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করার বিধান যুক্ত করা হচ্ছে। এ ছাড়া আরো দু-একটি বিষয় কমিশন সভায় উঠতে পারে। তবে, এইগুলো না হলেও বিদ্যমান আচরণবিধিতে নির্বাচন সম্ভব।
এ দিকে ইসি সূত্র জানায়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে. এম. নুরুল হুদার নেতৃত্বে ওই কমিশন সভায় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বাদে বাকি তিন কমিশনারসহ ইসি সচিবালয়ের আরো অনেকে উপস্থিত থাকবেন। ৩৭তম এই সভায় মোট চারটি বিষয়কে এজেন্ডাভূক্ত করা হয়েছে। সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮-এর সংশোধন, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য নীতিমালা-২০১৮ নামে নতুন করে একটি নীতিমালা প্রণয়ন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রার্থিতার পক্ষে সমর্থন যাচাই বিধিমালা ২০১১ সংশোধন এবং বিবিধ নামেও একটি এজেন্ডা রাখা হয়েছে।
ইসি সূত্র বলছে, তফসিল ঘোষণার সম্ভাব্য তারিখ নিয়েও সভায় আলোচনা হতে পারে। এ ছাড়া আরচণবিধিতে আরো দুই-একটি সংশোধনী আনা হতে পারে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে থাকলে কেউ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না- এমন একটি ধারা সংযুক্ত হতে পারে সংশোধনী আচরণবিধিতে। ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করে প্রচারে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রেও কিছু ধারা সংযোজন করা হতে পারে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে এক শতাংশ ভোটারের সইয়ের বাধ্যবাধকতা শিথিল করা হতে পারে কমিশন সভায়।
ইসি সূত্র আরো জানায়, এ সব সবই প্রস্তাবিত। ইসি সভায় অনুমোদিত হলে পরে তা ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। ভেটিং শেষ হলেও আচরণবিধি সংশোধন কার্যকর হয়ে যাবে।