নিজের বর্তমানকে উৎসর্গ করেছি ভবিষ্যতের জন্য : প্রধানমন্ত্রী
তরুণ প্রজন্মের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য নিজের বর্তমানকে উৎসর্গ করেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার বর্তমান পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য সম্ভাব্য সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমার বর্তমানকে আমি উৎসর্গ করেছি তরুণ প্রজন্মের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য, তারাই ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গড়বে। যতক্ষণ ক্ষমতায় আছি, পরিবর্তিত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপই গ্রহণ করব।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রোববার সকালে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে মোবাইল ফোন নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলে ‘মোবাইল নাম্বার পোর্টেবিলিটি’ (এমএনপি) সেবার উদ্বোধনকালে প্রদত্ত ভাষণে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আমার বর্তমানকে উৎসর্গ করছি তরুণদের ভবিষ্যতের জন্য। আমাদের বর্তমান, আমরা তো চলেই যাচ্ছি। আমাদের বর্তমানে যতটুকু কাজ আমরা এগোতে পারি, সেটা আমরা উৎসর্গ করেছি তরুণ প্রজন্মের জন্য।’ তিনি বলেন, তারা আমাদের ভবিষ্যৎকে গড়ে তুলবে, এগিয়ে নিয়ে যাবে। এই চলার গতিটা যেন কখনো থেমে না যায়।
তরুণদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ছেলেমেয়েদের এটাই বলব যে, মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া শিখতে হবে। আর প্রযুক্তি ব্যবহারে আরো অভ্যস্ত হতে হবে। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। যত দিন যায় প্রতিনিয়ত আধুনিক প্রযুক্তি বের হয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যতদিন ক্ষমতায় আছি, এই পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য যা যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, সেই পদক্ষেপগুলো আমরা নেব।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ, সংসদ সদস্য নাহিন রাজ্জাক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মোবাইল অপারেটর সার্ভিসের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে এমএনপি সার্ভিসের ওপর একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শিত হয়।
বহুল প্রতীক্ষিত এই এমএনপি সার্ভিসের আজ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও পরীক্ষামূলকভাবে ১ অক্টোবর থেকে দেশে এর বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়। বিশ্বে ৭২তম দেশ হিসেবে এই সার্ভিস বাংলাদেশে চালু করেছে সরকার।