পূর্বঘোষিত ২৩ অক্টোবরের পরিবর্তে ২৪ অক্টোবর সিলেটে জনসভার অনুমতি পেয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। প্রধান বক্তা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সভাপতিত্ব করবেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী।

আজ রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর মতিঝিলে গণফোরামের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গঠিত স্টিয়ারিং ও সমন্বয় কমিটির যৌথ সভা শেষে এসব কথা জানান জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব।

আবদুর রব প্রথমেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানান এবং সিলেটে জনসভার আগেই নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।

আবদুর রব বলেন, আগামী ২৩ অক্টোবর আমাদের জনসভা ছিল। কিন্তু সরকার অনুমতি দিয়েও বাতিল করেছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন সিদ্ধান্ত নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন। সরকারি দল নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে। কিন্তু বিরোধী দলকে সভা সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না কেন- মর্মে রিট করেন তিনি। রিটে সরকারের ওপর সমন জারি হয়েছে। ফলে সরকার আমাদের ২৪ তারিখ সভা করার অনুমতি দেয়।

জেএসডির সভাপতি বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম, যেকোনো উপায়ে সিলেটে যাব। বাইরে বা ঘরে যদি সভা করতে না দেয় তাহলে মাজার জিয়ারত করব। আমার মনে হয় আমরা যেকোনো চাপের মুখে পিছু হটব না, তা সরকার বুঝতে পেরেছে। তাই অনুমতি দিয়েছে। তার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ। আশা করি ২৭ অক্টোবর চট্টগ্রামে আমাদের জনসভায় কোনো বাধা দেবে না সরকার।

আবদুর রব এ সময় আরো কর্মসূচির কথা জানান। তিনি বলেন, ২৬ অক্টোবর দেশের সুশীল সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবে ঐক্যফ্রন্ট। রাজধানীর হোটেল পূর্বাণীতে হবে এ সভা। পূর্বঘোষিত রাজশাহীর সভাটি ৩০ তারিখের পরিবর্তে ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

আজ রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর মতিঝিলে গণফোরামের কার্যালয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গঠিত স্টিয়ারিং ও সমন্বয় কমিটির যৌথ সভা শেষে বক্তব্য দেন জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব। ছবি : এনটিভি

রব বলেন, ঐক্যফ্রন্টের কর্মসূচির মধ্যে আরো রয়েছে শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সাত দফা দাবি তুলে ধরা হবে। একইভাবে দেশের পেশাজীবী, ওলামা-মাশায়েখদের সঙ্গেও মতবিনিময় করবে ঐক্যফ্রন্ট।

সরকারের কাছেও সাত দফা দাবি লিখিত আকারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্যাডে তুলে ধরা হবে বলে জানান জেএসডির  সভাপতি।

যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গঠিত স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, শহীদুল্লাহ কায়সার, মমিনুল ইসলাম ও ডা. জাহেদ উর রহমান, জেএসডির আ স ম আবদুর রব, মিসেস তানিয়া রব, আব্দুল মালেক রতন ও শহিদুদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আ ব ম মোস্তফা আমিন এবং ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা সুলতান আহমেদ মনসুর।

সভায় বিএনপির পক্ষ থেকে বরকতউল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, মনিরুল হক চৌধুরী ও হাবীবুর রহমান হাবিব, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার, মমিনুল ইসলাম ও ডা. জাহেদ উর রহমান, গণফোরামের আ ও ম শফিকুল্লাহ, জগলুল হায়দার আফ্রিক ও মোস্তাক আহমেদ এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।