জাফরুল্লাহর দুই প্রতিষ্ঠানে অভিযান, ২৫ লাখ টাকা জরিমানা
দুটি চাঁদাবাজি ও একটি চুরির মামলার পর আশুলিয়ায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দুটি প্রতিষ্ঠানে একযোগে অভিযান চালিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ওষুধ উৎপাদন ও নিম্নমানের কাঁচামাল ব্যবহারের দায়ে গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিকেলস লিমিটেডের কারখানাকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা এবং এন্টিবায়োটিক ইউনিট সিলগালা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ ছাড়া গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ রাখার অভিযোগে আরো ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। লাইসেন্সহীন হাসপাতাল পরিচালনা করায় এক মাসের মধ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স গ্রহণের নির্দেশ দেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টায় অভিযান শেষে র্যাবের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে তিনজন ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিকেলস লিমিটেডের কারখানায় একযোগে অভিযান শুরু করে র্যাব।
অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ রাসেল হাসান ও সাভার উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রণব কুমার ঘোষ।
অভিযানের সময় র্যাব-৪ সাভার ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর আব্দুল হাকিম জানান, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চলছে। অভিযান শেষ হলে ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালতের পর্যবেক্ষণ ও বিচারিক সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানান মেজর হাকিম।
এর আগে আশুলিয়ায় জমি দখলের চেষ্টা, ভাঙচুর, চুরির অভিযোগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়।
উচ্চ আদালত থেকে এই তিন মামলায় আগাম জামিন নিয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে সেনাপ্রধান সম্পর্কে অসত্য বক্তব্য দেওয়ায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়। গত ১২ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মেজর এম রাকিবুল আলম একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
ওই সাধারণ ডায়েরিটি গত সোমবার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হিসেবে গ্রহণ করে ডিবিকে তদন্তের নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।