ময়মনসিংহ সদরে ধানের শীষ চান উপজেলা চেয়ারম্যান
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৪ সদর আসনে বিএনপির প্রার্থিতা চান ময়মনসিংহ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি কামরুল ইসলাম মোহাম্মদ ওয়ালিদ।
১৯৮৯ সাল থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে ছাত্রদল ও বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় কামরুল ইসলাম মোহাম্মদ ওয়ালিদ এনটিভি অনলাইনকে জানান, এর আগে সফলভাবে দলের প্রার্থীর পক্ষে পাঁচটি জাতীয় নির্বাচন, দুটি পৌর নির্বাচন ও দুটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নানাভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নির্বাচন পরিচালনা ও প্রার্থী জিতিয়ে আনার বিষয়ে ওয়ালিদ একজন ‘ক্যারিশমাটিক নেতা’ বলে দাবি করেন তাঁর সমর্থকরা।
কামরুল ইসলাম মোহাম্মদ ওয়ালিদ ১৯৮৯ সালে ছাত্রদলে যোগ দিয়ে রাজনীতির মাঠে পা রাখেন। ছাত্রজীবনে ময়মনসিংহ নাসিরাবাদ কলেজ ছাত্র সংসদে দুবার (১৯৯০ ও ১৯৯২) ভিপি নির্বাচিত হন। সে সময় তিনি একই কলেজে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আহ্বায়ক ছিলেন। পরে ময়মনসিংহ পৌরসভার বর্ধিত অংশে দুবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে ১২ বছর দায়িত্ব পালন করেন। প্রথমবারেই তিনি পৌরসভার প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান।
১৯৯৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত জেলায় মূল দলের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। ২০০৯ সালে দলীয় নির্বাচনে ময়মনসিংহ সদর বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন। বর্তমান জেলা বিএনপির সহসভাপতিও কামরুল ইসলাম মোহাম্মদ ওয়ালিদ।
২০১৪ সালের উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আশরাফ হোসেনকে বিপুল ভোটে হারিয়ে বিজয়ী হন বিএনপির এই নেতা। তিনি পেয়েছিলেন এক লাখ ১০ হাজার ভোট। আশরাফ হোসেন পান ৬০ হাজার ভোট।
পৌর কাউন্সিলর থাকাকালে বর্ধিত অনুন্নত এলাকায় কাঁচা-পাকা সড়ক ও ড্রেন নির্মাণ করেন তিনি। বর্ধিত অন্ধকারাচ্ছন্ন পৌর এলাকায় মার্কারি বিজলি বাতির আলো ছড়িয়েছে তাঁর হাত ধরেই। শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে বগারবাড়ি খালের সংস্কার এবং পাকা করেন তিনি।
এ ছাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে প্রায় ২৫ কোটি টাকার উন্নয়নকাজ করেছেন বলে জানান এই বিএনপি নেতা। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে দুর্গম চরাঞ্চলে ১৫ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক, ২০ কিলোমিটারের অধিক পাকা সড়ক, কালভার্ট, ফুটওভার ব্রিজ, অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাকাকরণ ও সংস্কারকাজ করেছেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা সব সময় হামলা-মামলার শিকার দলীয় নেতাকর্মী এবং তাদের বিপদগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ান। এ ছাড়া স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, ক্লাব, ক্রীড়া সংগঠন, মসজিদসহ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানেও সহায়তা করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যান ছাড়াও পৌর কাউন্সিলর থাকাকালে এলাকার উন্নয়নে কাজ করেছি। ২০১৪ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সরকারি দায়িত্বের পাশাপশি এলাকায় নিয়মিত গণসংযোগ করে চলেছি। দল মনোনয়ন দিলে ইনশাআল্লাহ জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসন অন্তর্ভুক্ত এলাকায় উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের মুখে হাসি ফোটাতে চাই।’