নেত্রকোনায় ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
নেত্রকোনায় মানহানির মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ও আমলি আদালত ১-এর বিচারক মো. শরিফুল হক এ আদেশ দেন।
গতকাল বুধবার দুপুরে নেত্রকোনা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী কামরুন্নেছা আশরাফ ওই আদালতে ব্যারিস্টার মইনুলের হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মানহানির মামলা করেন।
বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলে অপমান করায় মানহানি হয়েছে। এজন্য আদালত এ আদেশ দিয়েছেন বলে জানান বাদীর আইনজীবী মনোয়ারুল হক পারভেজ।
মামলার আরজিতে জানা যায়, মইনুল হোসেন সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে অপমান করায় সমগ্র নারী সমাজকে অপমান করা হয়েছে বলে মনে করেন মামলার বাদী। এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়েছে। এ সময় মইনুল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন মামলার বাদী।
গত ১৬ অক্টোবর একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টক শোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির প্রশ্নের জবাবে তাঁকে চরিত্রহীন বলে মন্তব্য করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মানহানির মামলা করেন মাসুদ ভাট্টি। এ ছাড়া ক্ষমতাসীন দলের মহিলা লীগ ও যুব মহিলা লীগের নেত্রীরাও চট্টগ্রাম, ভোলা, জামালপুর, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, রংপুর, কুড়িগ্রাম, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে মামলা করেন। এর মধ্যে রংপুরের মামলায় গত ২২ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও ইংরেজি দৈনিক নিউ নেশনের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন তাঁকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সেদিন থেকে কারাগারে আছেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।