সাতক্ষীরার সেই পিপির নিয়োগ বাতিল
সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ওসমান গনির নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। তাঁর স্থানে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তপন কুমার দাসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আইন মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (পিপি/জিপি) আবদুস সালাম মণ্ডল স্বাক্ষরিত এক পত্রে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে। গত ২৩ অক্টোবরের ওই পত্র আজ বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরায় এসে পৌঁছায়। প্রশাসনিক কারণে ওসমান গনির নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে বলে পত্রে উল্লেখ করা হয়। পিপি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া অ্যাডভোকেট তপন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, অ্যাডভোকেট ওসমান গনি ২০১৪ সালের ২৫ আগস্ট সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পিপি হিসেবে যোগ দেন। এরপর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে আইনের যথাযথ ব্যাখ্যা দানে অজ্ঞতার অভিযোগ ওঠে। ফলে রাষ্ট্রপক্ষ বেশিরভাগ মামলায় হেরে যেতে থাকে। তাঁর বিরুদ্ধে ২৯টি বিভিন্ন ধরনের মামলার নম্বর দিয়ে তা তদন্তের দাবি জানিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ জমা দেন সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির একজন সদস্য। এর মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আটক সাতক্ষীরায় জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবদুল খালেক মণ্ডল, জামায়াতের আমির মো. আবদুল খালেক, কলেজছাত্র গৌতম হত্যা এবং আওয়ামী লীগ নেতা ও দৈনিক পত্রদূত পত্রিকার সম্পাদক স ম আলাউদ্দিন হত্যা মামলাও ছিল। এসব মামলায় পিপি ওসমান গনি বিবাদীপক্ষকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এ বিষয়ে জানতে অ্যাডভোকেট ওসমান গনির মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘চিঠি এসেছে বলে শুনেছি। অ্যাডভোকেট তপনের ওপর পিপির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হচ্ছে, তা সত্য নয়।’