বিয়ের পাত্রী দেখে বাড়ি ফেরা হলো না সুমনের!
শ্যালকের জন্য বিয়ের পাত্রী দেখতে গিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না ভগ্নিপতি সুমনের (২৫)। বুধবার বিকেলে নেত্রকোনার কেন্দুয়া-আঠারবাড়ি সড়কের চকপাড়া নামক স্থানে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে নিহত হন সুমন।
এ সময় গুরুতর আহত হন নিহত সুমনের শ্যালক গোলাপ মিয়া (২২) ও বিয়ের ঘটক হোসেন মিয়া (৬০)। নিহত সুমন কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার বনগ্রাম (গচিহাটা) গ্রামের মৃত সাহেদ মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও নিহত সুমনের স্বজনরা জানায়, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার তেলুয়ারী গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে গোলাপ মিয়ার জন্য বিয়ের পাত্রী দেখতে বুধবার সকালে পাত্র গোলাপ, তাঁর ভগ্নিপতি সুমন ও বিয়ের ঘটক স্থানীয় আঠারবাড়ি উত্তর বনগাঁও গ্রামের বাসিন্দা হোসেন মিয়া একটি মোটরসাইকেলে করে পাশের কেন্দুয়া উপজেলার ভরাপাড়ায় যান।
সেখানে পাত্রী দেখে বাড়ি ফেরার পথে কেন্দুয়া-আঠারবাড়ি সড়কের চকপাড়া সলক নামক স্থানে পৌঁছালে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে পড়ে। এতে সড়কের পাশে থাকা আমগাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেলচালক ভগ্নিপতি সুমনসহ গাড়িতে থাকা তিনজনই আহত হন।
পরে স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে গুরুতর আহতাবস্থায় কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রজত কান্তি সরকার সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আহত গোলাপ মিয়া ও হোসেন মিয়াকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমারত হোসেন গাজী এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।