প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ সফল হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সংলাপ সফল হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন। তাই তিনি আজ সংলাপে বসছেন। সব রাজনৈতিক দল এ সংলাপে অংশ নেবে। তাঁরা সংলাপের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তা করে আগামী নির্বাচনে আসবেন। তবে আগামী নির্বাচন সংবিধানসম্মতভাবেই অনুষ্ঠিত হবে। সংলাপের মাধ্যমে তাঁরা নির্বাচনে এসে জনগণের রায় গ্রহণ করবেন। সংবিধানসম্মত যে পথ আছে, সে পথেই সংবিধানসম্মত সংলাপ হবে। আমাদের সংবিধানে বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জে নবনির্মিত এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) তৃতীয় প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এর আগে প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে বিএনপি ভুল করেছে। এখন তারা সে ভুলের খেসারত দিচ্ছে। তারা সংলাপে অংশ নেবে। সফল সংলাপ শেষে নির্বাচনে এসে জনগণের রায় মেনে নেবে।

আজ সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে তাঁর সঙ্গে সংলাপে বসবেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। পরদিন কাল শুক্রবার সন্ধ্যায় একই স্থানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে বসবে বিকল্পধারা বাংলাদেশ। ৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় সংলাপে বসবে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোট।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গি দমন করেছেন। সারা দেশকে বিদ্যুতায়িত করেছেন। সারা দেশে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। এখন উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রীর উদার দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। তাঁর উদার দৃষ্টিভঙ্গিকে সবাই শ্রদ্ধা করেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোপালগঞ্জে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত সাতটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনকালে গোপালগঞ্জ থেকে গণভবনে যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক  ডা. এহসানুল কবির জগলুল, গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার বক্তব্য দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিন, গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধূরী এমদাদুল হক, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান, স্বাস্থ্য, রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব, পদস্থ কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।