গফরগাঁওয়ে নৌকা চান বাবুল
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও-পাগলা) আসনে নৌকার কাণ্ডারি হতে চান ছাত্রলীগের সাবেক আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ও ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল।
নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ময়মনসিংহে এরশাদের শ্বশুরবাড়ি ‘সুন্দরী মহল’ জ্বালিয়ে দিয়ে দেশি-বিদেশি মিডিয়ায় আলোচিত হয়েছিলেন আনন্দমোহন কলেজের সাবেক এই ভিপি।
আওয়ামী লীগের এই নেতা জানান, স্কুলজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত হন তিনি। সে সময় মৃত্যুঞ্জয় স্কুল ছাত্রলীগের সভাপতি, পরে শহর ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক এবং ১৯৭৪ সালে জেলা ছাত্রলীগের সদস্য হন। ১৯৮০ সালে জেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক, ১৯৮৪ সালে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৮৬ ও ১৯৮৭ সালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৮৭ সালে আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি এবং পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
পরে ১৯৯০ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল। ১৯৯২ সালে জেলা কমিটির সদস্য, ১৯৯৬ সালে শ্রমবিষয়ক সম্পাদক, ২০০০ সালে প্রচার সম্পাদক, ২০০৬ সালে কৃষক লীগের আহ্বায়ক এবং বর্তমানে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এই নেতা। ১৯৭৫ সালের ৫ নভেম্বর জেলহত্যার প্রতিবাদ, ১৯৭৬ সালে এলাকায় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাজিয়ে এবং ১৯৭৬ সালে ১৫ আগস্টের পোস্টার লাগাতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন তিনি।
১৯৯০ সালের ডিসেম্বরের শুরুতে এরশাদবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ময়মনসিংহে একটি মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে ছাত্রনেতা ফিরোজ ও জাহাঙ্গীর নিহত হন। সেই মিছিলে ছিলেন বাবুল। ১৯৭৬ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে ছয়বার কারাবরণ করেন।
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল নিজ এলাকা (গফরগাঁও-পাগলা) থেকে দলের মনোনয়ন চাইছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক জানান, আইন পেশায় আসার পর থেকেই গফরগাঁওয়ের নিপীড়িত নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে আইনি সহায়তা দিয়ে আসছেন তিনি। পাশাপাশি চলছে গণসংযোগ।
এর আগেও একাধিক জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন জানিয়ে মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বলেন, ‘হাইকমান্ডের নির্দেশে দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছি। গফরগাঁওয়ের মানুষ ভীতিকর রাজনীতির পরিবর্তন চায়।’