মহেশখালীতে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ১০ জলদস্যু আটক
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ ১০ জলদস্যুকে আটক করেছে র্যাব ৭-এর সদস্যরা। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছয়টি দেশি বন্দুক ও ৩৭টি গুলি উদ্ধার করা হয়।
আজ সোমবার ভোররাত ৫টার দিকে উপজেলার বঙ্গোপসাগর চ্যানেলে অভিযান চালিয়ে ওই জলদস্যুদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া এলাকার আবদুল গফুর (২২), সাইফুল ইসলাম (২৮), মোহাম্মদ তারেক (৩০), আবুল হোসেন (২৫), ছৈয়দুল ইসলাম (৩৫), মো. জুয়েল (২৬), নুরুল হক (৩২), কুতুবদিয়া উপজেলার মো. করিম (২৫), তাহের মিয়া (২৫) ও বান্দরবান জেলার সিরাজুল ইসলাম (৪৫)।
র্যাব-৭ কক্সবাজার কার্যালয়ের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে যে, ভোররাতের দিকে বঙ্গোপসাগরের মহেশখালী এলাকায় মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতি হচ্ছে। খবর পেয়ে অভিযানে নামেন র্যাব সদস্যরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অন্য জলদস্যুরা পালিয়ে গেলেও ১০ জনকে আটক করতে সক্ষম হয় র্যাব।
সে সময় ডাকাতদের কবল থেকে তিন জেলেকে উদ্ধার করা হয়। ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত নৌকা তল্লাশি করে ছয়টি দেশি লম্বা বন্দুক ও ৩৭টি গুলিও উদ্ধার করা হয় বলে জানান মেজর মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, ‘যেখানে ডাকাতি হচ্ছিল এই জেলেদের সহযোগিতায় আমরা এই ডাকাতদের ধরতে সক্ষম হই। ওখানে ১১টি অস্ত্র ছিল, তার মধ্যে পাঁচটি অস্ত্র তারা ফেলে দেয়, আমরা ছয়টি অস্ত্র উদ্ধার করতে পারি। ৩৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করি। জলদস্যু আমরা ১০ জনকে পেয়েছি। এর বাইরেও আরো কিছু জলদস্যু ছিল, যারা আরেকটি বোট নিয়ে পালাতে সক্ষম হয়।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, এরা মূলত তিনটা ডাকাতদল। জালাল বাহিনী, মাহবুব বাহিনী ও আহম্মদ বাহিনী। এই তিন বাহিনী হচ্ছে কুতুবদিয়া ও মহেশখালীর। সবাইকে বলেছি যারা জলদস্যু আছে তারা যেন আত্মসমর্পণের আওতায় আসে। যারা আত্মসমর্পণের মাধ্যমে আসবে তাদের আমরা আইনি সহায়তা দেব। আর যারা এখনো ডাকাতি করে যাচ্ছে, তাদের অবশ্যই গ্রেপ্তার করব এবং যথোপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করব।
আটক জলদস্যুদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কক্সবাজার সদর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান মেজর মেহেদী হাসান।