আ. লীগের এজেন্টও ঠিক, বিএনপি মাঠেও নেই
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আগে তফসিল ঘোষণার অপেক্ষা আর সম্ভাব্য প্রার্থীদের মনোনয়নকেন্দ্রিক দৌড়ঝাঁপ—সব মিলিয়ে সারা দেশে ভোটের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বরিশালেও বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী হাওয়া।
প্রায় চার লাখ ভোটারের নির্বাচনী এলাকা বরিশাল-৫। নগরী এবং সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন মিলিয়ে গঠিত এ আসনে মনোনয়নের লড়াইয়ে মাঠে আছেন ক্ষমতাসীন দলের বেশ কয়েকজন নেতা। যদিও বিএনপির ক্ষেত্রে পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। নির্বাচনী প্রস্তুতি আছে নেতারা এমন কথা জানালেও মাঠে তাঁদের তেমন উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ড কিংবা প্রচারণা নেই। নির্বাচনী পরিবেশ নিয়েও দলটির নেতাদের রয়েছে নানা অভিযোগ।
বরিশাল (দক্ষিণ) জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম শাহিন বলেন, ‘নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি, এ দুটি বিষয় নিশ্চিত না হলে সেই নির্বাচনে বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্ট যাবে কি না আমার সন্দেহ। এবং সেই নির্বাচনও জনগণের কাছে কতটুকু গ্রহণযোগ্য হবে, সেটা নিয়েও একটা প্রশ্ন থেকে যায়।’
এদিকে ক্ষমতাসীন দল হওয়ায় নির্বাচনী প্রস্তুতিতে এগিয়ে আছে আওয়ামী লীগ। এরই মধ্যে নির্বাচনকেন্দ্রিক যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করে আনার কথাও জানিয়েছে দলটি।
বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এ কে এম এ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ ৩০টি ওয়ার্ডে কমিটি আছে আমাদের, এবং প্রতি ওয়ার্ডকে আমরা কেন্দ্রভিত্তিক ইউনিট কমিটি করা আছে আমাদের, এমনকি কেন্দ্রগুলোর এজেন্ট কারা থাকবে, সেটাও কিন্তু আমাদের করা আছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল জেলা এবং মহানগর আওয়ামী লীগ আমরা এরই মধ্যে প্রস্তুতি আমরা গ্রহণ করেছি।’
অন্যদিকে আসন্ন নির্বাচনে একজন ভালো জনপ্রতিনিধি দেখার আশাবাদ জানিয়ে ভোটাররা বলছেন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার কথা।
কেমন জনপ্রতিনিধি চাই জানতে চাইলে বয়স্ক এক ভোটার (৬৫) বলেন, ‘আশা, আকাঙ্ক্ষা, দুঃখ প্রকাশ যেন তাঁর কাছে বলতে পারি, এবং আমাদের উন্নত... যেমন বরিশাল শহরে পাঁচ আসনে কাজ যেমন হয় আমরা এমন ব্যক্তিকেই আমরা সংসদে দেখতে চাই।’
মাঝবয়সী আরেক ভোটার (৫০) বলেন, ‘বরিশালের জনগণের উন্নতির জন্য ভালো একজন এমপি নির্বাচিত হইলে এতেই আমরা খুশি।’
সুন্দর ভোটের পরিবেশ প্রত্যাশা করে অপেক্ষাকৃত তরুণ (৩০) এক ভোটার বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে তো আমরা চাই, যাতে সুন্দরভাবে আমরা আগামীতে একটা ভোট দিতে পারি। সুন্দর একটা নির্বাচন-পরিবেশ সরকার তৈরি করুক।’
আরেক ভোটার বলেন, ‘সরকারের কাছে একটি দাবি শুধু যে, আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেব, এই নিশ্চয়তা সরকারের কাছে আমি চাই।’