তফসিল বা নির্বাচন পেছানোর সময় নেই : হানিফ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, ‘সব মিলিয়ে যে সময় আছে আমার মনে হয়, নির্বাচন কমিশনের হাতে এই মুহূর্তে তফসিল বা নির্বাচন পেছানোর কোনো সময় নেই।’
আজ বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়ার পিটিআই রোডের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মাহবুব-উল-আলম হানিফ।
হানিফ বলেন, ‘সংবিধানের যে নির্দেশনা আছে সেই নির্দেশনা অনুযায়ী তফসিল পেছানোর আর কোনো সুযোগ নেই। ২৬ জানুয়ারি ২০১৯ সালে সংসদের মেয়াদ শেষ হবে। সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন শেষ করতে হবে। আমাদের দেশে সাধারণত নির্বাচনের সময় দুই একটি কেন্দ্রে নানা কারণে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। সেটাকে আবার পুনর্নির্বাচন করতে হয়। সেজন্য ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগে। নির্বাচনের ফলাফলের পর গ্যাজেট প্রকাশ করে শপথ নিতে হয়। সব মিলিয়ে যে সময় আছে আমার মনে হয়, নির্বাচন কমিশনের হাতে এই মুহূর্তে তফসিল বা নির্বাচন পেছানোর কোনো সময় নেই।’
বিএনপিই ঐক্যফ্রন্টের মূল শক্তি, এমন মন্তব্য করে হানিফ বলেন, ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে আন্দোলন করার অধিকার সব দলেরই আছে। তবে সে আন্দোলনটা কারা করবে? বিএনপি নাকি ঐক্যফ্রন্ট? জনসমর্থনহীন, জনবিচ্ছিন্ন ব্যক্তিরা বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছেন।’
এ সময় মাহবুব-উল-আলম হানিফ আরো বলেন, ‘বিএনপিকে বাদ দিলে ঐক্যফ্রন্টের পেছনে জনগণ আছে কি না সেটা নিয়ে ভাববার বিষয় আছে। বিএনপির শক্তিই তাদের মূল শক্তি। বিএনপি গত পাঁচ বছরে বহু আন্দোলন করেছে। সেগুলো দেশবাসী দেখেছে। বেগম জিয়া নিজেও যখন আন্দোলন করেছেন সে সময় বলেছিলেন, এবার নয় ঈদের পরে আন্দোলন হবে। এক ঈদ চলে গেছে আরেক ঈদ আসছে, ঈদের পরে ঈদ আসছে কিন্তু আন্দোলন আর আসে নাই।’
আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি জানিয়ে হানিফ বলেন, ‘বিএনপি যদি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অযৌক্তিক, অসাংবিধানিক দাবি-দাওয়া উত্থাপন করে নির্বাচনকে বানচাল করার ষড়যন্ত্র করে এবং সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তারা যদি আন্দোলনের নামে নাশকতামূলক বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে, দেশের জনগণ সেটাকে বরদাস্ত করবে না। এবার দেশের জনগণ অনেক সচেতন। দেশের জনগণ নির্বাচন বানচালের যেকোনো অশুভ তৎপরতাকে প্রতিহত করবে।’
এ ছাড়া জনগণের সমর্থন নেই বলেই বিএনপি আন্দোলন করতে পারছে না বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ।
এ সময় কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ সদর উদ্দিন খান, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি রবিউল ইসলামসহ দলীয় নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।