ব্যারিস্টার মইনুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ
টক শোতে নারী সাংবাদিককে কটূক্তি করা নিয়ে মানহানির মামলায় কারাবন্দি সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে আগামী রোববারের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রংপুর কারা কর্তৃপক্ষ ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ তথ্য দিয়েছে।
এই সময়ে রংপুর থেকে অন্য কোনো জেলায় স্থানান্তরের সময় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে যথাযথ নিরাপত্তা দিতে সরকার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
পৃথক দুটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী রোববার আবেদন দুটির পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ঠিক করা হয়।
আদালতে ব্যারিস্টার মইনুলের পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক।
এর আগে গত ৭ নভেম্বর বিশেষায়িত হাসপাতালে ব্যারিস্টার মইনুলের চিকিৎসা ও রংপুর আদালতে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় সরকারের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে পৃথক দুটি রিট করা হয়। মইনুলের স্ত্রী সাজু হোসেন এ রিট দায়ের করেন।
গত ১৬ অক্টোবর রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টক শোতে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে উদ্দেশ করে 'চরিত্রহীন' মন্তব্য করেন। এ নিয়ে মাসুদা ভাট্টি ঢাকার আদালতে একটি মানহানির মামলা করেন। এ ছাড়া এ ঘটনায় রংপুর, জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এ পর্যন্ত ১৮টি মামলা দায়ের হয়েছে তার বিরুদ্ধে। অধিকাংশ মামলার বাদী আওয়ামীলীগ এবং এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
মাসুদা ভাট্টির মামলাসহ দুটি মামলায় আগাম জামিন নেওয়ার পর গত ২২ অক্টোবর সন্ধ্যায় মইনুলকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ২৩ অক্টোবর আদালতে হাজির করা হলে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম। এরপর সেদিন বিকেলে ঢাকার কেরানীগঞ্জস্থ কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যারিস্টার মইনুলকে। গত ৩ নভেম্বর ব্যারিস্টার মইনুলকে রংপুর কারাগারে পাঠানো হয়।