আশুলিয়ার বাসে তরুণীর হত্যাকারীদের ধরতে পারব : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকার আশুলিয়ায় বাসে তরুণী হত্যাকারীদের খুব শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এটা কোনোভাবেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি বা আসন্ন নির্বাচনের প্রভাব নয় বলেও তিনি দাবি করেছেন।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর মগবাজারে এক অনুষ্ঠান শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি দাবি করেন, সারা দেশে শুধু পরোয়ানাভুক্ত আসামিদেরই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাসে যে ডাকাতিকালীন যে হত্যাটা হয়েছে। এটা তদন্ত হবে। এবং আমরা প্রকৃত দোষী ব্যক্তিকে ধরতে পারব। এইটা নিয়ে আমাদের কোনো ধরনের, আইনশৃঙ্খলার অবনতি বা ইলেকশানের ইফেক্ট, এটা মোটেই সত্য নয়।’
এ ছাড়া সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না এমন দাবি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শিডিউল ডিক্লেয়ারের আগ পর্যন্ত কোনো গণগ্রেপ্তার হয়নি। যাদের নামে স্পেসিফিক ওয়ারেন্ট ছিল। কিংবা অভিযোগ ছিল, তাদেরকে ধরা হচ্ছে। এইখানে কাউকে নির্দিষ্ট করে কেউ এই পার্টির সেক্রেটারি, কেউ ওই পার্টির মেম্বার সেই হিসেবে ধরা হয়নি।’
গতকাল শুক্রবার রাতে বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর মহাসড়কের আশুলিয়ার মরাগাঙ এলাকা থেকে জরিনা খাতুন নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত নারী সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার খাস কাওলিয়া গ্রামের আকবর আলীর মেয়ে।
বাবা আকবর আলী জানান, শুক্রবার সকালে তাঁরা দুজন আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকায় তাঁর নাতনির বাসায় বেড়াতে যান। সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জে নিজ বাড়ি ফিরে যাওয়ার উদ্দেশে আশুলিয়ার ইউনিক থেকে টাঙ্গাইলগামী বাসে ওঠেন বাবা ও মেয়ে। তবে বাসটি টাঙ্গাইল না গিয়ে কয়েক ঘণ্টা বিভিন্ন স্থান ঘুরে আবার আশুলিয়ার দিকে চলে আসে। পরে বাসটি আশুলিয়ার মরাগাঙ এলাকায় পৌঁছালে নিহতের বাবাকে মারধর করে মোবাইল ফোন টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। এদিকে আহত অবস্থায় জরিনার বাবা ঘটনাটি টহল পুলিশকে জানালে তারা প্রায় দুই কিলোমিটার সামনে গিয়ে মহাসড়কের পাশে মেয়ে জরিনা বেগমের মরদেহ দেখতে পান।
নিহত জরিনার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেছে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় জরিনার স্বামী নূর ইসলাম বাদী হয়ে বাসের চালক, চালকের সহকারীসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন।