খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউতে ফিরিয়ে নেওয়ার আবেদন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার চালিয়ে যেতে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন তাঁর আইনজীবীরা।
আজ রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়। আগামীকাল এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
রিটের বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘ম্যাডাম খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ্,তাঁর চিকিৎসার আগেই রাজনৈতিক কারণে কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি শুধু অবিচারের শিকারই হননি বরং সরকারের প্রতিহিংসার শিকারও হয়েছেন।’
এ বিষয়ে মাহবুব উদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ। তাঁর চিকিৎসা শেষ হওয়ার আগে তাঁকে কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমরা তাঁর চিকিৎসার জন্য পুনরায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আনার জন্য আবেদন করেছি। আগামীকাল এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে।’
এর আগে গত ৮ নভেম্বর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা হাইকোর্টে মৌখিকভাবে আবেদন করলে আদালত বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনটি নিষ্পত্তি হয়ে গেছে।’
‘যদি মনে করেন নতুন কোনো কারণ তৈরি হয়েছে, তাহলে আবেদন করতে পারেন।’ বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের উদ্দেশে এ কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে খালেদা জিয়াকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে খালেদা জিয়ার আইনজীবীর আরেকটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এসব কথা বলেন।
আদালত বলেন, ‘বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন নিষ্পত্তি হওয়া বিষয়টি নতুন করে উন্মুক্ত করার অবকাশ নেই। যদি মনে করেন, আদালতের নির্দেশনা প্রতিপালন হয়নি তাহলে আদালত অবমাননার আবেদন দাখিলের সুযোগ আছে। যদি মনে করেন নতুন কোনো কারণ তৈরি হয়েছে, তাহলে আবেদন করতে পারেন।’
গত ৪ অক্টোবর বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে নির্দেশনা চেয়ে খালেদা জিয়ার করা রিটটি নিষ্পত্তি করে কিছু নির্দেশনা, পর্যবেক্ষণসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট। আদালত খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় নতুন করে পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করতে ও অবিলম্বে তাঁকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি ও চিকিৎসা সেবা শুরুর নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়াকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। পরে তাঁর উপস্থিতিতে পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগার চত্বরে স্থাপিত বিশেষ আদালতে নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি আজকের মতো শেষ হয়েছে। আদালত এই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৪ ডিসেম্বর ধার্য রেখেছেন।