খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ ১৫ মে
ড্যান্ডি ডাইংয়ের ৪৫ কোটি টাকা ঋণখেলাপির মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের কার্যক্রম পিছিয়েছেন আদালত। আগামী ১৫ মে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহনের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেনের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ইস্যু গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেছেন বলে আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর জন্য সময় আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
এর আগে ২০১৫ সালের ১২ এপ্রিল খালেদা জিয়া, মৃত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানসহ চারজনকে ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রোকসানা আক্তার হ্যাপি আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছিলেন। এ মামলার শুরুতে কোকোর স্ত্রী ও সন্তান বিবাদীভুক্ত ছিলেন না। কোকোর মৃত্যুর কারণে ইসলামী শরিয়াহ আইনের বিধান অনুযায়ী উত্তরাধিকারী হিসেবে তাঁরা বিবাদীভুক্ত হন। পরে ২০১৫ সালের ১৬ মার্চ আদালত তাঁদের বিবাদীভুক্ত করেন।
২০১৫ সালের ৮ মার্চ খালেদা জিয়াসহ অন্যদের বিবাদীভুক্ত করার জন্য ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে আবেদন জানান সোনালী ব্যাংকের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন।
এ মামলার অন্য বিবাদীরা হলেন—ড্যান্ডি ডাইং লিমিডেট, প্রয়াত সাঈদ এস্কান্দারের ছেলে শামস এস্কান্দার ও সাফিন এস্কান্দার, মেয়ে সুমাইয়া এস্কান্দার, স্ত্রী নাসরিন আহমেদ, তারেক রহমান, গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, মামুনের স্ত্রী শাহীনা ইয়াসমিন, কাজী গালিব আহমেদ, শামসুন নাহার ও মাসুদ হাসান। তবে মোজাফফর আহমেদ মারা গেলে তাঁর স্ত্রী শামসুন্নাহার ও ছেলে মাসুদ হাসানকে বিবাদীভুক্ত করা হয়।
২০১৩ সালের ২ অক্টোবর বিবাদীদের বিরুদ্ধে ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগে মামলা করেন সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল স্থানীয় কার্যালয় শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিবাদীরা ড্যান্ডি ডাইংয়ের পক্ষে ১৯৯৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সোনালী ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করেন। ওই বছরের ৯ মে সোনালী ব্যাংক বিবাদীদের আবেদনকৃত ঋণ মঞ্জুর করে।
২০০১ সালের ১৬ অক্টোবর বিবাদীদের আবেদনক্রমে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সুদ মওকুফ করে। এর পর বিবাদীদের আবেদনক্রমে ঋণ পুনঃতফসিলীকরণও করা হয়। কিন্তু বিবাদীরা ঋণ পরিশোধ না করে ক্রমাগত কালক্ষেপণ করতে থাকেন বলে মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়।
মামলায় আরো অভিযোগ করা হয়, ২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য চূড়ান্ত নোটিশ প্রদান করা হলেও বিবাদীরা কোনো ঋণ পরিশোধ করেননি।