চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে লড়তে চান বিএনপি নেতা বাবু খান
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-২ (দামুড়হুদা, জীবননগর ও সদরের একাংশ) আসনটি উদ্ধার করতে চান বিএনপির উপকোষাধ্যক্ষ মাহমুদ হাসান খান বাবু। লড়তে চান ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে। এ জন্য বিএনপির মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন তিনি।
বিজিএমইএর বর্তমান সহসভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু এলাকায় বাবু খান নামে পরিচিত।
আগামী নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পেলে ২০০৮ সালে হারানো এই আসনটি বিপুল ভোটের ব্যবধানে উদ্ধার করতে পারবেন বলে দৃঢ় বিশ্বাস এই বিএনপি নেতার।
১৯৯৬ সালের সপ্তম ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনটি ছিল বিএনপির দখলে। ২০০৮ সালে আসনটি চলে যায় আওয়ামী লীগের হাতে। সর্বশেষ ২০১৪ সালে ওই আসনে বিনা ভোটে জয় পান বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের আলী আজগর টগর।
বিএনপির উপকোষাধ্যক্ষ ও জেলা দলের প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু ১৯৮৩-৮৪ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে ছাত্র রাজনীতিতে জড়ান। রাইজিং গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাবু খান বর্তমানে পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি।
দামুড়হুদা, জীবননগর ও সদরের একাংশ নিয়ে গঠিত চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের অন্তর্ভুক্ত এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পৃষ্ঠপোষকতাসহ অংশগ্রহণ করে আসছেন বাবু খান। এ ছাড়া গত ১০ বছরে সরকারের বিভিন্ন নির্যাতন, হামলা ও মামলায় নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন তিনি।
মাহমুদ হাসান খান বাবু এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যদি আমাকে প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ দেন, তাহলে হারানো এ আসন আমি পুনরুদ্ধার করতে পারব। দলীয় মনোনয়ন পেলে বিজয়ী হয়ে আসনটি দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার হাতে তুলে দিতে পারব ইনশা আল্লাহ।’