ভাই আ.লীগের মেয়র, স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন ব্যবসায়ী শামীম
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আমিনুল হক শামীম। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও এফবিসিসিআইর একাধিকবার নির্বাচিত পরিচালক।
শামীমের ভাই ইকরামুল হক টিটু আওয়ামী লীগ সমর্থিত ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র ছিলেন। সিটি করপোরেশন ঘোষণার পর তিনি এখন প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করছেন।
গতকাল বুধবার শেষ দিন শামীম প্রতিনিধির মাধ্যমে উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এখানে আওয়ামী লীগ থেকে বেশ কয়েকজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও কেউ তা জমা দেননি।
ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য রওশন এরশাদ। শহরতলি সুতিয়াখালীতে তাঁর পৈতৃক বাড়ি। তিনি একাধিকবার নির্বাচিত হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, মহাজোটের সুবাদে এখানে এবারও রওশন এরশাদকে সমর্থন দেবে আওয়ামী লীগ। এ কারণেই হয়তো এখানে কাউকে মনোনয়ন দেয়নি ক্ষমতাসীন দলটি।
২০০৮ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এখান থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে আসনটি রওশন এরশাদকে ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। পরে মতিউর রহমানকে টেকনোক্র্যাট কোটায় ধর্মমন্ত্রী করা হয়।
অন্যদিকে, বিএনপি থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও ময়মনসিংহ পৌরসভার সাবেক মেয়র দেলোয়ার হোসেন খান দুলু, ড্যাব নেতা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ। মামলা-সংক্রান্ত কারণে হয়তো ডা. জাহিদ নির্বাচন করতে পারবেন না।
এ ছাড়া নতুন এই বিভাগীয় শহরে কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা সিপিবির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক মিল্লাত। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের এই নেতা এর আগেও দুবার ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
নিজের মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে আমিনুল হক শামীম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত আছেন। দলকে ‘কোঠারিমুক্ত’, কর্মীবান্ধব ও গণমানুষের কাছে নিয়ে যাওয়াই তাঁর মূল লক্ষ্য। নির্বাচিত হয়ে তিনি বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের জন্য নতুন নতুন শিল্পকারখানা গড়ে তুলতে চান।