ইভিএমে ভোট চান আন্দালিব, প্রয়োজনে খরচও দেবেন
২০ দলীয় জোটের সব দল বিরোধিতা করলেও আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়ার ব্যবস্থা করতে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ।
গতকাল শুক্রবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়েছেন ২০ দলীয় জোটের শরিক দলের এই নেতা। প্রয়োজনে ইভিএম ব্যবহারের জন্য সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ব্যয় বহন করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
চিঠি দেওয়ার আগে আন্দালিব রহমান পার্থ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও দুজন নির্বাচন কমিশনারকে মুঠোফোনে ইভিএম ব্যবহারের দাবি জানান। তিনি নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীকে বলেন, ‘আমি আমার আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ পদ্ধতি চাই। যদি আপনাদের (নির্বাচন কমিশন) কোনো আপত্তি না থাকে।’
উত্তরে শাহাদাত হোসেন চৌধুরী তাঁকে বলেন, ‘আপনি ইভিএম এভাবে চাইলে তো হবে না। আপনাকে লিখিতভাবে দরখস্ত করতে হবে। ইভিএম তো আপনাদের জন্য, ভোটারদের জন্য। অন্য দলগুলোর আপত্তি না থাকলে কমিশন ভেবে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবে।’
চিঠিতে আন্দালিব রহমান পার্থ লিখেছেন, ‘ভোলা-১ আসনের নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের জন্য আমি জোরালো দাবি জানাচ্ছি। ইভিএম ব্যবহারের জন্য সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যয় বহন করতেও রাজি আছি আমি।’
‘যদি ব্যালট পেপার চালু করতে প্রিসাইডিং অফিসারের যে আঙুলের ছাপে যেই ২৫ শতাংশ প্রক্রিয়াকরণ করা আছে এটাকে কমিয়ে ৫-১০ শতাংশ নিচে আনা গেলে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া আরো স্বচ্ছ হবে।’
চিঠিতে পার্থ আরো লিখেছেন, বিভিন্ন পত্রিকা সূত্রে তিনি জানতে পেরেছেন, আরো অনেক আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করার সক্ষমতা ও জনবল নির্বাচন কমিশনের আছে। সব নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কথা মনে করিয়ে দিয়ে আন্দালিভ লিখেছেন, ‘ভোটাধিকারের মতো একটি গণতান্ত্রিক অধিকারের ক্ষেত্রে সমান সুযোগ সৃষ্টি করা না হলে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক হবে।’
আন্দালিব পার্থ বলেন, ২০-দলীয় জোট এবং ঐক্যফ্রন্ট ইভিএম ব্যবহারের বিরুদ্ধে থাকা সত্ত্বেও ভোলার জনগণের দাবিকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি ভোলা সদর আসনে ইভিএম পদ্ধতির জন্য জোর অনুরোধ জানাচ্ছে। অন্যথায় এটা আমার এবং আমার নির্বাচনী আসন ভোলা-১ (সদর)-এর জনগণের প্রতি বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত হবে, যা কি না বাংলাদেশের সংবিধানের ধারা ২৭-এর পরিপন্থী...।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইভিএমের পক্ষে আছে উল্লেখ করে আন্দালিব বলেন, সুতরাং ভোলা-১ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী নীতিগতভাবে এর বিরুদ্ধে অবস্থান করতে পারেন না। এমতাবস্থায় ইসিকে ইভিএম ব্যবহারের দাবিটি বিবেচনা করার অনুরোধ করেন তিনি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনের মধ্যে ছয়টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার করা হবে। দৈবচয়ন পদ্ধতিতে এই ছয়টি আসন বাছাই করা হয়। আসনগুলো হলো ঢাকা-৬, ঢাকা-১৩, চট্টগ্রাম-৯, খুলনা-২, রংপুর-৩ ও সাতক্ষীরা-২।