‘সরকার বিএনপির বিরুদ্ধে সাইবার যুদ্ধ শুরু করেছে’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার বিএনপির বিরুদ্ধে সাইবার যুদ্ধ শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এই যুদ্ধের অংশ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নানা রকম অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
আজ শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, ‘ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার ইত্যাদিতে ছড়িয়ে দিচ্ছে বিদ্বেষমূলক নানা সুপার ইমপোজ করা ছবি, টেম্পারড নকল অডিও, ভিডিও। মূলত, এই সব নির্জলা মিথ্যাচার, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অশ্লীল, রুচিহীন প্রোপাগাণ্ডা। যা দিয়ে সরকার ভোটারদের দৃষ্টি অন্যদিকে সরাতে চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগ এই ধরনের গর্হিত অপকর্মে অর্ধশতাধিক অনলাইন পোর্টাল, ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক গ্রুপকে ব্যবহার করছে। বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। নামে, বেনামে ভুয়া আইডির ফেসবুকে প্রতিদিন হাজার হাজার ডলার ব্যয় করে প্রমোশন দিয়ে বুস্ট করছে।’
রিজভী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন পেইজের নামও উল্লেখ করেছেন।
রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এই সব প্রোপাগাণ্ডা অনলাইন পোর্টাল, ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক গ্রুপের মধ্যে রয়েছে। যেমন, বাংলা ইনসাইডার, বাংলা নিউজ পোস্ট, আমাদের রাজনীতি, চিরায়ত বাংলাদেশ, নিউজ ফর অল, ছবির মতো দেশ, বাংলাদেশি ভাইরাল ভিডিও, চেয়ারম্যান সাব, গেরিলা ৭১, শোন হে বাঙালি, সাইবার ফোর্স ৭১, রক্ত ঋণ একাত্তর, বঙ্গবন্ধু সাইবার ফোর্স, বঙ্গবন্ধু জিজিটাল ব্রিগেড, আওয়ামী সাইবার ব্রিগেড, আম জনতা, ভোরের পাতা, গুজবে কান দিবেন না, মোহাম্মদ এ আরাফাত প্রভৃতি। প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত আপনজনদের নামেও সাইবার ওয়েবসাইট খুলে অবান্তর, কাল্পনিক, উদ্ভট অপপ্রচার চালাতে হিসেববিহীন অর্থ ব্যয় করছে আওয়ামী লীগ।’
রিজভী বলেন, ‘কয়েক মাস আগে আওয়ামী লীগের ধানমণ্ডি কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলীর সঙ্গে সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন এবং ঢাকা মহানগর কমিটির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বৈঠকে মাঠ দখল বিষয়ে, অনলাইনে প্রচারণার নানা কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়।’
এ বিজ্ঞপ্তিতে রিজভী বিভিন্ন জেলায় বিএনপির গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের নাম জানান। একই সঙ্গে তিনি, এসব নেতাকর্মীদের ছেড়ে দিতে ও অপপ্রচার বন্ধ করতে আহ্বান জানান।
এ ছাড়া রিজভী বলেন, ‘বাগেরহাট জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার তপন কুমার বিশ্বাস এবং পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে সরকারদলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান গ্রহণ করেছেন। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করা হলেও কমিশন রহস্যজনকভাবে নির্বিকার থাকছে। আমি রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে নিয়োজিত জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস এবং পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়কে প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।’