নিজেই নিজের প্রস্তাবক ও সমর্থক!
পাবনা-৫ (সদর) আসনে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন ডা. মো. ইসমাইল হোসেন। তবে ফরমে দেখা যায় তিনি নিজেই নিজের প্রস্তাবক এবং সমর্থক! এ কারণে বাতিল হয়ে যায় ইসমাইল হোসেনের প্রার্থিতা।
আজ রোববার সারাদেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে নির্বাচন কমিশন।
পাবনা -১ (সাঁথিয়া-বেড়া) আসনের বিএনপির মো. সালাহ উদ্দিন খানের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ না করে মনোনয়ন দাখিল করায় তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
পাবনা-৩ (চাটমোহর ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর) আসনে বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হাসানুল ইসলাম রাজার মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। শতকরা এক শতাংশ সমর্থকদের স্বাক্ষর জাল করে মনোনয়ন জমা দেওয়ায় তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। চাটমোহর উপজেলা চেয়ারম্যান বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. হাসাদুল ইসলাম হীরা উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করলেও মন্ত্রনালয় তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করায় তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
পাবনা জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন এ সব মনোনয়নপত্র বাতিলের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘সংক্ষুব্ধরা আগামী তিনদিনের মধ্যে এই আদেশের প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবে।’
পাবনা জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘নিজেই নিজের প্রস্তাবক ও সমর্থক হওয়ায় পাবনা-৫ আসনের বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন মনোনীত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন মনোনীত প্রার্থী ডা. মো. ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তাঁর মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।
চাটমোহর উপজেলা পরিষদের পদত্যাগকৃত চেয়ারম্যান ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. হাসাদুল ইসলাম হীরা বলেন, ‘জেলা প্রশাসক রির্টানিং কর্মকর্তা হিসেবে পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন, অথচ রাজনৈতিক কারণে মন্ত্রনালয় সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়নি।’
বর্তমানে ৩৮ জন বৈধ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। এর মধ্যে পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়া) আসনে ১১ জন। তাঁরা হলেন, শামসুল হক টুকু (আওয়ামী লীগ), অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ (গণফোরাম), ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন (জামায়াত বিদ্রোহী), কমরেড নজরুল ইসলাম (ওর্য়াকার্স পার্টি), মাওলানা আব্দুল মতীন (ইসলামী আন্দোলন), মো. শাখাওয়াত হোসেন (এনপিপি), মো. শরিফুল ইসলাম (তরিকত ফোডারেশন) ডা. আব্দুল বাসেত খান (জামায়াত), ডা. মো. শফিকুল ইসলাম (বিএনপি), মো. জুলহাসনাইন বাবু (গণসংহতি আন্দোলন) ও সরদার মো. শাজাহান (জাতীয় পার্টি)।
পাবনা-২ (সুজানগরা-বেড়া) আসনে ৮জন। তাঁরা হলেন, আহমেদ ফিরোজ কবীর (আওয়ামী লীগ), এ কে এম সেলিম রেজা হাবিব (বিএনপি), কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন (বিএনপি), আব্দুল হালিম সাজ্জাদ (বিএনপি) মো. ইউনুস আলী (ইসলামী আন্দোলন), মো. শাখাওয়াত হোসেন (এনপিপি), মো. শামসুর রহমান, (তরিকত ফোডারেশন) ও মো. রেজাউল করিম (জাসদ)।
পাবনা-৩ (চাটমোহর ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর) আসনে ৫ জন। তাঁরা হলেন, মকবুল হোসেন (আওয়ামী লীগ), কে এম আনোয়ারুল ইসলাম (বিএনপি), মো. খায়রুল আলম (গণতান্ত্রিক পার্টি) ও মো. ফখরুল আযম (বিএনপি)।
পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে ৬ জন। তাঁরা হলেন, শামসুর রহমান শরীফ ডিলু (আওয়ামী লীগ), মো. হাবিবুর রহমান হাবিব (বিএনপি), সিরাজুল ইসলাম সরদার (বিএনপি), মাওলানা আব্দুল জলিল (ইসলামী আন্দোলন) আবু তালেব মন্ডল (জামায়াত), মো. আব্দুর রশিদ শেখ (এনপিপি)।
পাবনা-৫ (সদর) আসনে ৮ জন। তাঁরা হলেন, গোলাম ফারুক প্রিন্স (আওয়ামী লীগ), শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস (বিএনপি), অধ্যক্ষ মাওলানা ইকবাল হোসাইন (২০ দলীয় জোট), জাকির হোসেন (ওয়াকার্স পার্টি), মো: আবু দাউদ (এনপিপি) এবং মো. আরিফ বিল্লাহ), মামুনার রশিদ খান (বিএনপি) ও মো. আব্দুল কাদের খান কদর (জাতীয় পার্টি)।