ভোটের লড়াইয়ে ফিরতে খালেদা জিয়ার আপিল
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছেন।
আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশনে গিয়ে আইনজীবীরা তিনটি আসনের খালেদা জিয়ার পক্ষে আপিলের আবেদন জমা দেন। এর মধ্যে ফেনী-১ আসনে কায়সার কামাল, বগুড়া-৬ আসনে নওশাদ জমির ও বগুড়া-৭ আসনে মাসুদ আহমেদ তালুকদার এসব আবেদন জমা দেন।
আপিল আবেদন জমা দিয়ে আইনজীবী কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তা আইনবহির্ভূতভাবে, অন্যায়ভাবে বিএনপির চেয়ারপারসনের তিনটি মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন। এটা সরকারের ষড়যন্ত্রেরই অংশ। আমাদের কাছে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তিনটি আসনে প্রার্থীর পক্ষে আপিল দায়ের করলাম।’
কায়সার কামাল বলেন, আইন নিজস্ব গতিতে চললে খালেদা জিয়া প্রার্থিতা ফিরে পাবেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ফেয়ারলি ডিসিশন নিলে ইসি থেকে খালেদা জিয়ার পক্ষে রায় পাব, আশা করি। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য জাতি অপেক্ষা করছে। খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচন হলে তা প্রহসনের নির্বাচন হবে। দেশ ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য খালেদা জিয়ার সুবিচার চাই আমরা।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়নপত্র বাতিল করলেও আপিলে তা ফিরে পাবেন বলে আশা করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে আমাদের। খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র যে গ্রাউন্ডে বাতিল হয়েছে, তা এখানে প্রযোজ্য নয়। ইসি সংবিধান ও আইন অনুসরণ করলে এবং বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে বিশ্বাসযোগ্য সিদ্ধান্ত নিলে খালেদা জিয়া প্রার্থিতা ফিরে পাবেন।’
দুই বছরের বেশি দণ্ডের পর নির্বাচনে অযোগ্যতার বিষয়ে নির্বাচনী আইনের বাধ্যবাধকতা ও ভোটে অযোগ্যতায় আদালতের আদেশের পরও কীভাবে আপিলে খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন আপনারা—এমন প্রশ্নে কায়সার কামাল বলেন, ‘একেকটা কেস একেক রকম। খালেদা জিয়ার কেসটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমরা আশা করি, ইসি আইন ও সংবিধান অনুসরণ করবেন। ইসি নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। দেশনেত্রীর বিষয়ে বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে, পক্ষপাতিত্ব না করে খালেদা জিয়া যেভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন, সে ব্যবস্থা করবেন ইসি।’