রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারকে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেছেন, রোহিঙ্গারা যাতে স্বেচ্ছায় নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে স্বদেশে ফিরে যেতে পারে, মিয়ানমারকে সে পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারের সদর উপজেলার পাওয়ার হাউস এলাকায় সমাজ উন্নয়নবিষয়ক সংগঠন ‘ইপসা’র শেল্টার হোম পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন রবার্ট মিলার।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে নিজ দেশের অবস্থান তুলে ধরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, কীভাবে নিরাপদে, মর্যাদাপূর্ণ ও স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসন কার্যক্রম শুরু করা যায়, যুক্তরাষ্ট্র সেটিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে।
১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ অবিশ্বাস্য মানবতা ও সহানুভূতি প্রদর্শন করেছে উল্লেখ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এ দেশের জনগণের প্রশংসা করেন। এ সংকটের ব্যাপারে সারা বিশ্বের মনোযোগ থাকা উচিত বলেও জানান তিনি।
দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা ও মানবিক সহায়তার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে আগামীতে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠী কীভাবে একত্রে কাজ করতে পারে, যুক্তরাষ্ট্র তা নিয়েও চিন্তাভাবনা করছে বলে জানান মিলার।
শেল্টার হোমের কার্যক্রম পরিদর্শনকালে মানবপাচারের শিকার পাঁচজনের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
এর আগে দুপুরে টেকনাফের হ্নীলা মৌলভীবাজার এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাহায্য ও উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির সহযোগিতায় পরিচালিত ‘সূর্যের হাসি’ ক্লিনিক পরিদর্শন করেন রবার্ট মিলার। তারও আগে তিনি উপজেলার জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক কমিশনের ভেরিফিকিশেন সাইট, কমিউনিটি ক্লিনিক, লেদা, নয়াপাড়া ও শামলাপুর রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এ সময় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন।
তিন দিনের সফরে গত মঙ্গলবার কক্সবাজার পৌঁছান রবার্ট মিলার। সফরকালে তিনি নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের কোনারপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। আজ বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তাঁর ঢাকায় ফেরার কথা।