‘গার্মেন্টস শিল্পে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে’
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেছেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে গার্মেন্টস শিল্পে বিশৃখলা সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে। এ শিল্পে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না।’
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কোর কমিটির ৩৮তম সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যাতে কোনো মহল দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই খাতের শ্রমিকের উসকানি দিয়ে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে যে বিষয় শ্রমিক মালিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম যে মজুরি কাঠামো ঘোষণা করেছে, তা এ মাস থেকে কার্যকর হবে । মজুরি কাঠামোর সাতটি ধাপ ২০১৩ সালের মজুরি কাঠামোর প্রক্রিয়ায় বৃদ্ধি করা হয়েছে। মজুরি কাঠামোর এক ধাপের সাথে আরেক ধাপের বৃদ্ধির বিষয় নিয়ে যাতে শ্রমিক মালিকের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি না হয় এ জন্য বিজিএমইএ, বিকেএমইএ নেতৃবৃন্দকে কারখানা পর্যায়ে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে স্পষ্ট করার তাগিদ দেন।
প্রতিমন্ত্রী কারখানার উৎপাদন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখা এবং শ্রমিক অসন্তোষ যাতে না দেখা দেয় এজন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধের জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় গাজীপুরের নিউ টাউন নিটওয়্যার কোম্পানি বন্ধ হওয়া, মজুরি না দেওয়া এবং শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে গাজীপুরের সিটি মেয়র জহাঙ্গীর আলমকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে আগামী সাতদিনের মধ্যে বসে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানের সুপারিশ করা হয়।
সভায় বিকেএমইএর সভাপতি সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান, বিজিএমইএর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম, মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহামুদ, কালকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. সামসুজ্জামান ভূঁইয়া, শিল্প পুলিশের মহাপরিচালক আব্দুস সালামসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।