‘সতর্ক’ করতে নির্বাচন কমিশনে নানক!
মনোনয়ন ফিরে পেতে আপিলকারীদের তৃতীয় দিনের শুনানি চলছে নির্বাচন কমিশনে (ইসি)। এর মধ্যে আজ শনিবার ইসিতে দেখা গেছে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানককে।
পরে নানক সাংবাদিকদের জানান, ইসি যাতে কারো ষড়যন্ত্রে পা না দেয়, সেজন্যই ‘সতর্ক’ করতে এসেছেন তিনি।
দুপুর ২টার দিকে এসে নানক ইসি সচিব হেলালুদ্দিন আহমদের সঙ্গে আলাপ করেন। এরপর বিকেল ৩টার দিকে সাংবাদিকদেরকে সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন কি না প্রশ্ন করা হলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নিয়ে আসিনি। তবে, ঐক্যফ্রন্ট বিএনপি নির্বাচনকে বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। ইসিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। তাদের ওই ষড়যন্ত্রে যেন ইসি পা না দেয় এ জন্যই আসা।’
জাহাঙ্গীর কবির নানক আরো বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা মানে, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। সে বিষয়ে আমরা বলেছি যে, বাংলাদেশের মানুষ আজকে নির্বাচনমুখী হয়ে গিয়েছে। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে মনোনয়নপত্রের যে বিক্ষোভ চলছে, সে বিক্ষোভ হরো মনোনয়ন বাণিজ্যের বিক্ষোভ। কাজেই এই মনোনয়ন বাণিজ্য করতে গিয়ে যারা ব্যর্থ হয়েছে, তারা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার জন্য নন-ইস্যুকে ইস্যু বানানোর চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে আমরা নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক হওয়ার জন্য বলেছি। দেশের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে। সেই প্রত্যাশা আমরা ব্যক্ত করেছি।’
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নানক বলেন, ‘সরকারের চাপ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সেই সরকার শেখ হাসিনার সরকার নয়। শেখ হাসিনা এই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জননী। কাজেই শেখ হাসিনার সরকার আজকের নির্বাচনকালীন সরকার। নির্বাচন কমিশনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ কাজ করার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে।’
আজ মহাজোটের দলীয় বা জোটের মনোনয়নের চূড়ান্ত তালিকা ইসিতে দেওয়ার কথা ছিল। সেই তালিকা আজকে দিয়ে গেলেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা তালিকা দেইনি। আমরা কাল নাগাদ তালিকা দেব।’
কোন দলের কয়জনকে মনোনয়ন দেওয়া হলো জানতে চাইলে নানক বলেন, ‘এটা যথাসময়ে নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হবে। তখনই আমরা জানাব। একটু অপেক্ষা করেন।’
আওয়ামী লীগের এই প্রতিনিধিদলে দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওসার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি জাহাঙ্গীর কবির নানক। এ ছাড়া দলটির আরো বেশ কিছু নেতাকে এবার মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। পরে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংবাদ সম্মেলনে জানান, জনপ্রিয় নেতারা এবার প্রার্থী না হয়ে নির্বাচন পরিচালনা করবেন। তাই, তাদের নির্বাচনের বাইরে রাখা হয়েছে।